পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এডিশনাল আইজিপি) ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। শুধু শামসুদ্দোহা একা নন, তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানারও রয়েছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতে মঙ্গলবার এই অভিযোগপত্র দাখিল করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। দুদকের তথ্য বলছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১ হাজার ২৭ শতক জমি আছে তাদের নামে। দলিলে এসব জমির দাম ৭০ কোটি টাকা দেখানো হলেও আদতে বাজারদর প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বেশি হবে। মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, শামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি মামলা করে দুদক। মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম মঙ্গলবার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে ২১ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার অপরাধলব্ধ আয়ের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে দুদক। অভিযোগপত্রে শামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩ হাজার ৩৮৩ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শামসুদ্দোহা খন্দকারের স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানার খন্দকারের বিরুদ্ধে ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। প্রসঙ্গত, শামসুদ্দোহা খন্দকার ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নেন। দায়িত্বপালনের সময় তার বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়।