অপেক্ষার পালা শেষ। অবশেষে প্রকাশিত হলো যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল। এ বছর আগাম নির্বাচনে ৪১২ আসনে নিরঙ্কুশ জয় নিশ্চিত করেছে ১৪ বছর পিছিয়ে থাকা লেবার পার্টি। অন্যদিকে ভরাডুবি হয়েছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির। ঋষি সুনাক ছাড়া এই দলের হেভিওয়েট বা শক্তিশালী প্রার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই হেরে গেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের নামও। শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে হেরে যাওয়া প্রার্থীদের নাম। লেবার পার্টির টেরি জার্মির কাছে নিজ আসনে হেরেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। সাউথ ওয়েস্ট নরফোক আসনে টেরি জার্মির কাছে ৬৩০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন তিনি। লিজের হার ছিল কনজারভেটিভ পার্টির জন্য এটি অন্যতম বড় পরাজয়। কেননা, ১৯৬৪ সাল থেকে এই আসন কনজারভেটিভদের দখলে ছিল। সিএনএনের তথ্যানুযায়ী, ব্রিটেনের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন ১১ হাজার ২১৭ ভোট, অন্যদিকে লেবার পার্টির প্রার্থী টেরি জার্মি পায়েছেন ১১ হাজার ৮৪৭ ভোট। কনজারভেটিভ দল থেকে হেরে যাওয়া আরও এক হেভিওয়েট প্রার্থীর নাম পেনি মর্ডান্ট। জয়ী দলের ভবিষ্যৎ নেত্রী হিসাবে তার নাম উঠে এলেও ১০০০ কম ভোটে আসনটি হারান তিনি। পোর্টসমাউথ নর্থ আসনে ১৩,৭১৫ ভোট পেয়েছিলেন পেনি। অন্যদিকে বিজয়ী লেবার পার্টির প্রার্থীর ঝুলিতে ছিল ১৪,৪৯৫ ভোট। হাউজ অব কমন্সে হেরে যাওয়া এই নেত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্র কখনই ভুল নয়।’ কনজারভেটিভ পার্টি ও বেক্সিটের সদস্য আরও এক বাঘা প্রার্থী জ্যাকভ রিস-মগ। উত্তরপূর্ব সমারসেটের নিজ আসনে লেবার পার্টির ড্যান নরিসের কাছে হেরে গিয়েছেন তিনি। যেখানে নরিস এই আসনে ২০,৭৩৯ ভোট পেয়েছেন সেখানে জ্যাকভ পেয়েছেন ১৫,৪২০ ভোট। সাবেক প্রতিরক্ষাসচিব গ্রান্ট শ্যাপসও ওয়েলউইন হ্যাটফিল্ডে লেবার পার্টির কাছে হেরে গিয়েছে। সেই নির্বাচনি এলাকায় ২০০৫ সাল থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। লেবার পার্টি সেখানে ১৯,৮৭৭ ভোট পেয়ে আসনটি জিতেছে। অন্যদিকে শ্যাপস মাত্র ১৬,০০০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। শ্যাপস গত ১৪ বছরে চারটি ভিন্ন প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ছয়টি মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এর আগে বরিস জনসনের অধীনে পরিবহণ সচিব, ডেভিড ক্যামেরনের অধীনে টোরি চেয়ারম্যান এবং মিস ট্রাসের মেয়াদে স্বরাষ্ট্রসচিব ছিলেন। তাকে পার্টির নেতা হিসেবে ঋষি সুনাকের ভবিষ্যৎ উত্তরসূরিদের একজন হিসাবে ধরা হতো। এছাড়াও কনজারভেটিভ পার্টির আরেক নেতা বিচারমন্ত্রী অ্যালেক্স চকও লেবার পার্টির প্রার্থীদের কাছে হেরেছেন। শিক্ষামন্ত্রী গিলিয়ান কিগান হেরেছেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটস (লিব-ডেম) প্রার্থীর কাছে। এছাড়াও অভিবাসনমন্ত্রী টম পার্সগ্লোভ লেবার পার্টির প্রার্থীর কাছে হেরেছেন।