বাইশ-তেইশ বছর আগে প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী শামস কিবরিয়া সম্পাদিত সাপ্তাহিক ‘মৃদুভাষণে’ লিখেছিলাম : একশ’ বছর পর বাঙালি ও বাংলাদেশের যে ইতিহাস রচিত হবে, সেখানে মেইন চ্যাপ্টারে থাকবেন শুধু বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথ। খলনায়ক হিসাবে পলাশী যুদ্ধের ইতিহাসে যেমন থাকে মীরজাফরের নাম, তেমন হয়তো সেখানে থাকবে আইয়ুব খানও। বাকি অনেকে থাকবেন মধ্য ও শেষের চ্যাপ্টারগুলোয় আর অধিকাংশই চলে যাবেন ফুটনোটে। আজ এতদিন পর মনে হচ্ছে, একশ’ কী দুইশ’ বছর পর ঘটনার ঘনঘটনায় যে ইতিহাস লেখা হবে, সেখানে শেখ হাসিনাও মেইন চ্যাপ্টারে চলে আসতে পারেন, যদি তিনি একটা বড় সাফল্য দেখাতে পারেন। শুধু তাই নয়, সেক্ষেত্রে তার জীবদ্দশায় লি কুয়ানের মতো ধারেকাছেও কেউ যেতে পারবেন না। তার সাফল্য অনেক, সব কথা বললে লেখার স্পেস কমে যাবে। যে বড় সাফল্যের পরিচয় দিতে হবে তাকে, সেটা একটু পরে বলছি, আগে গণতন্ত্র বিষয়টার ফয়সালা হোক। বিরোধীদলীয় অ্যাক্টিভিস্ট ও অ্যাকাডেমিশিয়ান-গণতন্ত্রের প্রশ্নে এই দু’পক্ষের চিন্তা খাপে খাপ মিলবে না। এই অ্যাক্টিভিস্টরা গণতন্ত্রকে জীবনধারণের মহৌষধ বলবেনই, কারণ তা না হলে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না। এ লক্ষ্যে তারা অন্যসব সাংবিধানিক সংস্থা বাদ দিয়ে শুধু নির্বাচন কমিশনকেই নিজেদের উপযোগী করে সাজাতে চান। অন্যদিকে, অ্যাকাডেমিশিয়ানরা তাদের ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রশ্ন তৈরি করেন এভাবে : গণতন্ত্রের সুফল ও কুফল বর্ণনা করো; অথবা একনায়কতন্ত্রের সুফল ও কুফলের তুলনামূলক বিচার করো। আমি যেহেতু একসময় মাস্টারি করেছি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানও পড়িয়েছি, তাই ছাত্রছাত্রীদের এভাবেই শিক্ষা দিয়েছিলাম। দ্বিতীয় কথা, মার্কসবাদী রাজনীতি করার সময় একদলীয় সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোই ছিল প্রিয়। সেই রাষ্ট্রগুলোর প্রশংসা করেছে মার্কসবাদীরা। আমি এতদিন পর গণতন্ত্রেরই পক্ষে, তবে এই সেদিন একদিনের জন্য চীনে গিয়ে দেখলাম, একদলীয় শাসনে লোকজন বেশ আছে। যাহোক, এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে বড় সাফল্য অর্জন করতে হবে বলেছিলাম, সেটি বলি। সেটা হলো, দুর্নীতি তো আর সমূল উচ্ছেদ করা যাবে না, জিরোর কাছাকাছি নিয়ে আসা যায় যদি এবং একইসঙ্গে সমাজের সর্বস্তরে লি কুয়ানের মতো সুশাসন নিশ্চিত করা যায়, তাহলে শেখ হাসিনাকে আর পায় কে? গণতন্ত্র যে একেবারেই নেই, তা তো নয়। অন্তত রাজনৈতিক দল তো আছে ডজন ডজন, তারা মিটিং-মিছিলও করছে। টকশো আছে শ’য়ে শ’য়ে। মিডিয়াও অর্থনীতির দুরবস্থাসহ অনেক ক্ষেত্রেই স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এবার আমরা লেখার ভেতরে ঢুকবো। ত্রিশ বছর আগে অর্থাৎ মিসেস জিয়ার প্রথম টার্মে সাপ্তাহিক যায়যায়দিনে আমি একটা শব্দদ্বৈত কয়েন করেছিলাম, ‘প্রতিষ্ঠিত অরাজকতা’। এই শিরোনামে একটি সিরিজ লেখায় বলেছিলাম, সমাজে কিছু কিছু অরাজক পরিস্থিতি এমনভাবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে যাচ্ছে যে, সেগুলোকে আর অস্বাভাবিক মনে হয় না, মনে হয় সেগুলো জীবনেরই অংশ। এই অরাজক পরিস্থিতিগুলোই প্রতিষ্ঠিত অরাজকতা। ত্রিশ বছর পর দেখছি, বিএনপি আমলের সেই প্রতিষ্ঠিত অরাজকতাগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন কিছু প্রতিষ্ঠিত অরাজকতা। এজন্য শুধু আওয়ামী লীগের চার টার্ম (বর্তমান টার্ম তো কেবল শুরু হয়েছে) ও বিএনপির দুই টার্মের সরকারগুলোই দায়ী নয়, সমাজের নেগেটিভ ডিনামিক্সও সমান দায়ী। বর্তমানের প্রতিষ্ঠিত অরাজকতাগুলো হলো : ঘুস, দুই বড় দলের সাংঘর্ষিক সম্পর্ক, সড়কে অব্যবস্থাপনা ও দুর্ঘটনা (বিশেষত দুই ঈদের পূর্বাপর সময়ে), ওয়াজ মাহফিলে মিথ্যাচার ও উসকানি, ছুতানাতায় দ্রব্যমূল্য বাড়ানো, রাজধানীর যানজট, পুলিশের বাড়াবাড়ি, বিলম্বিত বিচার প্রক্রিয়া, মাস্তানতন্ত্র, ব্যাংক ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়া ইত্যাদি। হ্যাঁ, সাধারণ দুর্নীতিও প্রতিষ্ঠিত অরাজকতার ‘মর্যাদা’ পেয়ে গেছে। তবে সাম্প্রতিককালে একের পর এক মেগা দুর্নীতি ফাঁস হওয়ার পর মনে হচ্ছে, এই দুর্নীতিও ভেতরে ভেতরে প্রায় প্রতিষ্ঠিত অরাজকতা হয়ে পড়েছে, আমরা এতদিন ধরতে পারিনি। অতঃপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি সংসদে উচ্চারিত তার কঠোর বার্তা বাস্তবেও দ্রুত প্রয়োগ না করেন, তাহলে মেগা দুর্নীতিও সাধারণ দুর্নীতির মতো প্রতিষ্ঠিত অরাজকতা হয়ে পড়বে। সবচেয়ে বড় বিপদ হবে, এই অরাজকতা যদি প্রথায় রূপ নেয়। অনিয়ম ভাঙা যায়; প্রথা ভাঙা খুব কঠিন। এক সময় বাসে-ট্রেনে-লঞ্চে ধূমপান করার যে অনিয়মের চল ছিল, তা ভেঙেছি আমরা। কিন্তু দাসপ্রথা অথবা হিন্দু সমাজের সতীদাহ প্রথা কিংবা বিধবা বিবাহের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রথা ভাঙতে অজস্র বছর পার করতে হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, বেনজীর ও মতিউরের দুর্নীতি যখন ফাঁস হয়েছিল, তখন আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা বলেছিলেন, ওরা আমাদের লোক নয়। কেউ একজন বলেছিলেন, এরা সংখ্যায় কম। আবার অনেকেই বলেছেন, দুর্নীতির সূত্রপাত হয়েছে বিএনপি আমলে। এসব কথা প্রকারান্তরে বর্তমান দুর্নীতিবাজদের পক্ষাবলম্বেরই নামান্তর। সেদিন আরটিভির টকশোয়ে আমার সহআলোচক এক আওয়ামী লীগ নেতাও বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন। প্রথমত, মেগা দুর্নীতিবাজরা কোনো না কোনো সরকারি দলের প্রভাবশালী নেতার পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছেন, অতঃপর আমাদের লোক নয় কথাটা কোনো বুদ্ধিমান লোকের মাথায় গছিয়ে দেওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত, এরা সংখ্যায় কম, এ কথাটা ক্রমেই হালকা হয়ে যাচ্ছে। হ্যাঁ, বিএনপি আমলে দুর্নীতি হয়েছে নিশ্চয়ই এবং তা এমন দুর্নীতি যে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় সরকারের আমলে টিআই’র দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বেশ কয়েকবার সর্বশীর্ষে অবস্থান করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বেনজীরের মতো আপাদমস্তক দুর্নীতিবাজ শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে তখন দেখিনি আমরা। বিএনপি আমলের দুর্নীতির ব্যাপারে আমাদের একটাই কথা-দুর্নীতির বিরুদ্ধে যদি all-out প্রতিরোধ সংগ্রাম করতে হয়, তাহলে সেই আমলের দুর্নীতির বিরুদ্ধেও মামলা করতে হবে। প্রয়োজনে চারদলীয় জোট সরকার আমলের দুর্নীতির ওপর প্রকাশ করতে হবে শ্বেতপত্র। কথা হচ্ছে, দুর্নীতিবাজ, তা যে আমলেরই হোক, তার পাশে কেউ দাঁড়াতে পারবে না। অভিযুক্তের পাশে দাঁড়াবে শুধু আইনের কোনো অংশ দ্বারা যদি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হতে পারেন, সেই অংশ এবং তার নিয়োগকৃত উকিল-ব্যারিস্টার। এ দুই ছাড়া কেউ তার পাশে দাঁড়ালে বুঝতে হবে, তিনি ওই দুর্নীতিবাজের সঙ্গে লেনদেন অথবা অন্য কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে আছেন। যে কোনো আন্দোলনের থাকে দুটি পক্ষ। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যদি আন্দোলন করতে হয়, তাহলে পক্ষ বদল করা যাবে না। পক্ষ বদল করলে আন্দোলনটি মামুলি ‘হাইড অ্যান্ড সিক’ খেলায় পরিণত হয়ে পড়বে। আমরা এখন যে আন্দোলনের কথা বলছি, সেটা সর্বদিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। সেদিন টকশোয় বলেছি, দেশে এখন গিজগিজ করছে দুর্নীতিবাজ। নানা সাইজের-কোনোটা কিং সাইজের, কোনোটা মধ্যম সাইজের, কোনোটা আবার ছোট। প্রতি ১০০০ ঘর পার হয়ে কোনো ঘরে ঢুকলে দেখা যাবে সেখানে রয়েছে কালোটাকা। হয় হুন্ডি ব্যবসায়ীর কালোটাকা, না হয় স্মাগলারের অথবা নানা ধরনের সিন্ডিকেটের কালোটাকা। আবার সরকারি-বিরোধী দল নির্বিশেষ রাজনীতিকের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঘটছে বড় দুর্নীতি। বিগ বিজনেস হাউজগুলোর ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ এবং আমলাসহ বড় দুর্নীতিবাজদের টাকা পাচার যুক্ত হয়েছে এগুলোর সঙ্গে। তবে গত মাসখানেক ধরে উন্মোচিত ঘটনাবলি থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির চিত্রই ক্যানভাসের মূল ফোকাস। চাঁদসহ অনেক নক্ষত্র উঠে গেছে আকাশে, এখন আর পঞ্জিকা দেখার দরকার নেই যে, সেটা দেখে বলতে হবে চাঁদ উঠেছে। সবাই দেখতে পাচ্ছি চাঁদ ও অনেক নক্ষত্র। অমর্ত্য সেন বলেছেন, আমাদের উপমহাদেশ আর্গুমেন্টিটিভ সমাজ, এখানে গণতন্ত্র অপরিহার্য। তার এ কথা বর্তমান বাংলাদেশে এখন খুব বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে না। সমালোচকরা কী বলে বলুক, সাধারণ মানুষ উন্নয়নের যে ছোঁয়া পেয়েছে, তাতে তারা নির্বাচনে ভোট দিতে চায় ঠিকই, তবে সুশাসন দিতে পারলে এবং দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা গেলে রাজনীতিটা বিএনপির জন্য ‘লস্ট গেইম’ হয়ে পড়বে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আদালত-মিডিয়া-দুদক এই তিন প্রতিষ্ঠান যদি যথাযথভাবে ফাংশন করতে পারে, তাহলে দেশ থেকে দুর্নীতি সহনীয় মাত্রায় নামানো সম্ভব। আদালতের কথা পরে বলছি, দুদক ও মিডিয়া যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সেজন্য সরকার, বিশেষত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা বড় বেশি প্রয়োজন। এই তিন প্রতিষ্ঠান সিরিয়াসলি কাজ শুরু করার আগে অতি অবশ্যই কিছু আইনি সংস্কার, এমনকি বিচার পদ্ধতিরও পরিবর্তন ঘটাতে হবে। তার আগে বলে নেই, মেইন স্ট্রিম ও সোশ্যাল মিডিয়া দুর্নীতির খবর বা সূত্র ধরিয়ে দিলে আপত্তি থাকার কথা নয়, তবে কোনো মিডিয়া যদি দুর্নীতির বানোয়াট খবর বা খবরের সূত্র প্রচার করে, তাহলে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনমতো প্রচলিত আইনে আদালতে মামলা করতে হবে বৈকি। আমরা আজ সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতিকেই প্রাধান্য দেব। প্রথমে আইনি সংস্কারের কথা বলি। সেদিন প্রকাশিত এক বিশিষ্ট ব্যক্তির দুর্নীতিবিষয়ক একটি লেখার শিরোনাম ছিল ‘সীমাবদ্ধ আইনের সুযোগ নিচ্ছে দুর্নীতিবাজরা’। প্রথমত, ভারতীয় চাকরির শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী দুর্নীতির শাস্তি চাকরি থেকে অপসারণ হলেও আমাদের এখানে ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের বিধানমতে দুর্নীতির কারণে কোনো সরকারি কর্মচারীর এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা হলে তাকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না। তাকে চাকরিতে বহাল রাখা যাবে এবং তিরস্কারের মতো লঘুদণ্ড দিয়ে তাকে সাফ-সুতরো করা যাবে। দ্বিতীয়ত, ‘ডিসমিসাল অন কনভিকশন’ অধ্যাদেশটি কেন বাতিল করা হয়েছে, আমাদের বোধগম্য নয়। বাতিলকৃত এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতির দায়ে যে কোনো মেয়াদে কারাদণ্ড হলেও তাকে চাকরিচ্যুত করা যেত। তৃতীয়ত, ভারতে রয়েছে; কিন্তু আমাদের এখানে প্রতি পাঁচ বছর পর সম্পদের হিসাব দাখিলের একটা যেমন-তেমন বিধান আছে বটে, তবে এখতিয়ারাধীন এলাকার বাইরে স্থাবর সম্পত্তি গড়ার জন্য পূর্বানুমোদনের কোনো বিধান নেই, এমনকি অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন, সেই বিধানও নেই। চতুর্থত, ১৯৮৫ সালে একটা আইন হয়েছিল দুর্নীতির সর্বনিম্ন শাস্তি হবে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অব্যাহতি। এই আইন বাতিল করে ২০১৮ সালে যে শৃঙ্খলাবিধি প্রণয়ন করা হয়েছে, তাতে দুর্নীতির সর্বনিম্ন শাস্তি হলো তিরস্কার। আইনের উপর্যুক্ত দুর্বল দিকগুলো সংস্কারের মাধ্যমে কঠোর করা এখন সময়ের দাবি। আরও কথা আছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই দুর্নীতির কারণে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে, কোনো কোনো দেশে আছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান। আমাদের বিধান নমনীয়, শিথিল ও অতিক্রমযোগ্য। এবার আসি বিচার পদ্ধতি প্রসঙ্গে। বিচার পদ্ধতি দু’রকমের। আমাদের দেশে যেটা চালু রয়েছে, তাতে প্রসিকিউশন অভিযুক্তকে দোষী অথবা নির্দোষ প্রমাণ করে থাকে। ইউরোপের অনেক দেশের পদ্ধতিতে অভিযুক্তকেই নির্দোষ প্রমাণ করতে হয় নিজেকে। দ্বিতীয় পদ্ধতিতে দ্রুত বিচার সহজ হয়। দেশে দুর্নীতির এত প্রসার ঘটেছে যে, এখানে স্পিডি ট্রায়াল অর্থাৎ দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সংক্ষিপ্ততম সময়ের মধ্যে অভিযুক্তরা একের পর এক শাস্তি পেতে থাকলে দুর্নীতির ব্যাপারে দুর্নীতিপ্রবণদের মধ্যে এমন এক ভয়ের সংস্কৃতি গড়ে উঠবে যে, তা হবে দুর্নীতি থেকে মুক্তির এক বড় রক্ষাকবচ। বহু দূরবর্তী ইতিহাস প্রধানমন্ত্রীকে চিৎকার করে ডাকছে আর বলছে, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসনের কাজগুলো ঠান্ডা মাথায় করে যাও, বঙ্গবন্ধুর মতো তোমাকে একটা বড় জায়গা বরাদ্দের জন্য আমি রেডি হয়ে আছি। মাহবুব কামাল : সাংবাদিক