ফিলিস্তিনিদের দিকে ইসরাইলি স্নাইপাররা গুলি ছুড়েছে

প্রকাশিতঃ জুলাই ১১, ২০২৪ | ৭:৪৮ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত গাজা সিটি খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। সেখান থেকে পালাতে উদ্যত ফিলিস্তিনিদের দিকে ইসরাইলি স্নাইপাররা গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আল জাজিরার লাইভ আপডেটে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গাজা সিটির শুজাইয়া মহল্লার ইয়ারমৌক স্টেডিয়ামের মধ্য দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন এক ফিলিস্তিনি নারী। কিন্তু তাকে জানানো হয়, সেই সড়কে ইসরাইলি স্নাইপারের গুলিতে নিহত ফিলিস্তিনিদের মরদেহের স্তূপ জমে আছে। তিনি বলেন, আমরা প্যারামেডিক ও দমকলবাহিনীর সদস্যদের কাছে সাহায্য চাই। তারা যেন অন্তত মরদেহগুলো সড়ক থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এটা না করা হলে রাস্তার কুকুর এসে মরদেহ থেকে মাংস খেতে শুরু করবে। তাদেরকে কবর দেওয়া প্রয়োজন। ওই এলাকার অপর এক ব্যক্তি জানান, প্যারামেডিকরা মরদেহের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তারা নিজেদের চোখে দেখেছেন, এক ব্যক্তি হেঁটে যাওয়ার সময় মাথায় রাইফেলের গুলির আঘাত পেয়ে টলে পড়ে যান। পরবর্তীতে কোনোমতে তারা এই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। বুধবার জারি করা বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, গাজায় অবস্থিত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) একটি সদর দফতরের অভ্যন্তরে কাজ করা হামাস ও প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে রাতভর সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চালিয়েছে তারা। ওই কার্যালয়ে অভিযান চালানোর আগেও, এলাকা বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে আইডিএফ। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, তারা কিছু বাসিন্দাদের কাছ থেকে ফোনকল পেয়েছে। বোমা হামলার তীব্রতার কারণে তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে পারেননি। সংস্থাটি বলছে, গাজা থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, সেখানকার বাসিন্দারা করুণ অবস্থার মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করছেন। ইসরাইলি দখলদার বাহিনী আবাসিক এলাকাগুলোতে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে এবং লোকজনকে তাদের বাড়িঘর ও আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাস্তুচ্যুত করছে। ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় জাতিসংঘগভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জাতিসংঘ বলছে, গাজা নগরী খালি করার ইসরায়েলি নির্দেশ ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর ভোগান্তিকে আরও তীব্র করে তুলবে। তাদের মধ্যে এমন অনেকে আছে, যারা বহুবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।