গোপালপুরে পারিবারিক কলহের জেরে এক সন্তানের জননী আকলিমা (৩০) নামে এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। স্ত্রীর গলায় আঘাতের চিহ্ন নিয়ে রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তিনি। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. প্রিয়াংকা ও ডা. জেরিন পরীক্ষা করে আকলিমাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে নুরুল ইসলাম হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, আকলিমার মৃতদেহ নিয়ে তার স্বামী হাসপাতালে এসে ডাক্তারকে জানান- তার স্ত্রী পড়ে গিয়ে স্ট্রোক করেছেন। চিকিৎসক তার গলায় আঘাতের চিহ্ন পান। আকলিমার বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে। মেয়ের গলা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে নির্যাতনের চিহ্ন পেয়েছি। যদি সে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করত তাহলে পুলিশের উপস্থিতিতে লাশ নামাত এবং আমাকে জানাত। হাসপাতালে মেয়ের লাশ রেখে পালাত না। আমি বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা করব। জানা যায়, আট বছর আগে মির্জাপুর উত্তরপাড়া ইয়াকুব আলীর ছেলে নুরুল ইসলামের সঙ্গে নবগ্রাম উত্তর পাড়ার রফিকুল ইসলামের মেয়ে আকলিমার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে তানহা নামে ৫ বছরের এক কন্যা সন্তান আছে। সংসারের নানাবিধ সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। শনিবার দিবাগত রাতে তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। স্বামীর পক্ষের অভিযোগ, রোববার সকালে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস দেন আকলিমা। পলাতক থাকায় নুরুল ইসলামের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এসআই চন্দন কুমার পাল জানান, হাসপাতালে গিয়ে আকলিমার স্বামীকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাশ থানায় আনা হয়। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ওসি মামুন ভূঞা জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা হবে।