এবার অক্সফোর্ডের চ্যান্সেলর পদে লড়বেন কারাবন্দি ইমরান খান

প্রকাশিতঃ জুলাই ২৫, ২০২৪ | ৮:৫৮ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

এবার জেল থেকেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদের জন্য আবেদন করতে চলেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। পিটিআই প্রধানের আন্তর্জাতিক মিডিয়া উপদেষ্টা সৈয়দ জুলফি বুখারি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জনগণের দাবির প্রেক্ষিতেই ইমরান খান অক্সফোর্ডের চ্যান্সেলর পদে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন বলেই জানান বুখারি। তিনি বলেন, ‘আমরা পিটিআই প্রধানের কাছ থেকে অনুমতি পেলে এবং এর জন্য স্বাক্ষর প্রচার শুরু করার পরই আমরা এ বিষয়ে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেব।’ বৃহস্পতিবার টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৮০ বছর বয়সি লর্ড প্যাটেনের পদত্যাগের পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদটি শূন্য হয়ে যায়। তিনি দীর্ঘ ২১ বছর দায়িত্বে থাকার পর সম্প্রতি পদত্যাগ করেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটির চ্যান্সেলর পদকে একটি আনুষ্ঠানিক প্রধান হিসাবে বর্ণনা করেন। সাধারণত আজীবনের জন্য একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকেই তারা এ পদে নির্বাচিত করেন। যিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান প্রধান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে থাকেন। এদিকে প্রতিষ্ঠানটির নতুন চ্যান্সেলর নির্বাচন প্রক্রিয়াটি প্রথমবারের মতো অনলাইনে পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছে অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষ। যে প্রক্রিয়ায় লড়তে যাচ্ছেন এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির সমাবর্তনে অংশ নেওয়া সাড়ে ৩ লাখ সাবেক শিক্ষার্থী। ইমরান খান গত বছরের মে মাসে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে বর্তমানে কারাবন্দি রয়েছেন। যদিও তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা বর্তমানে ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। সম্প্রতি জেল থেকে এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘আমি ৭ ফুট বাই ৪ ফুটের একটি ডেথ সেলে বন্দি, যেখানে সাধারণত সন্ত্রাসীদের রাখা হয়। মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছে, কারণ তারা বর্তমান ব্যবস্থা এবং পাকিস্তান যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে তাতে বিরক্ত। ইমরান খান ১৯৭২ সালে অক্সফোর্ডের কেবেল কলেজে অর্থনীতি এবং রাজনীতি বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্রিকেট দলের অধিনায়কও ছিলেন। পাকিস্তানের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী এই অধিনায়ক ১৯৭২ সালে দেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন এবং ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১০ বছর ধরে ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন