হাঁস তাড়ানোকে কেন্দ্র কলেজ ছাত্রীকে বিবস্ত্র, লজ্জ্বায় আত্মহত্যা

প্রকাশিতঃ জুলাই ২৮, ২০২৪ | ৫:৫৫ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

জমি থেকে হাঁস তাড়ানোকে কেন্দ্র করে ইসরাত জাহান মৌফি (১৮) নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী প্রতিবেশিদের হাতে বিবস্ত্রের শিকার হয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের গুড়িয়াদহ গ্রামে ওই কলেজ ছাত্রীর বাড়ি থেকে রশ্মিতে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহত মৌফি ওই গ্রামের আব্দুল মতিন মন্ডলের মেয়ে এবং স্থানীয় কাউনিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে চলতি এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে সে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহত কলেজ ছাত্রীর বাবা আব্দুল মতিন মন্ডল বাদী হয়ে প্রতিবেশি ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের নামে আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিবরণ থেকে জানাগেছে, প্রতিবেশি মৃত শরিয়ত উল্লাহ মন্ডলের ছেলে সুলতান মন্ডল, সিরাজ আলী মন্ডল ও শাহজাহান আলী মন্ডলের পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন থেকে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে। এরই জেরে গত বুধবার সকালে জমি থেকে হাঁস তাড়ানোকে কেন্দ্র করে ঝগড়া বিবাদের একপর্যায়ে আসামী পক্ষরা আব্দুল মতিন মন্ডলের বাড়িতে এসে হামলা চালায়। এসময় তারা মতিনের স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী, কলেজ ছাত্র ছেলে ইউসুফ ইয়েম জোয়ান মাহিম (২১) ও মেয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী জাহান মৌফিকে (১৮) পিটিয়ে আহত করে। এসময় ময়না, স্বর্ণা ও সাগরিকাসহ কয়েকজন নারী মিলে কলেজ ছাত্রী মৌফির পড়নের কাপড় ছিড়ে বিবস্ত্র করে। পরে গ্রামবাসীরা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতলে ভর্তি করে। এদিকে কলেজ ছাত্রী ইসরাত জাহান মৌফি গ্রামবাসীদের সামনে বিবস্ত্র হওয়ায় ভীষণ লজ্জা পেয়ে যায়। আহতরা সকলেই হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হলেও সে ঘর থেকে আর বের হয় না। একপর্যায়ে দুপুরের দিকে বাড়িতে একা থাকার সুযোগে ঘরের ফ্যানের সাথে রশ্মি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এব্যাপারে নিহত কলেজ ছাত্রীর বাবা আব্দুল মতিন মন্ডল জানান, \'আমার মেয়েকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে তাতে আমার দুঃখ নেই, কিন্তু ওরা যদি সবার সামনে বিবস্ত্র না করতো তাহলে সে আত্মহত্যা করতো না। ওদের জন্যই আমার মেয়েকে হারালাম। আমি এর বিচার চাই\'। এব্যাপারে সদর থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, ওই ঘটনায় নিহত কলেজ ছাত্রীর বাবা আব্দুল মতিন মন্ডল বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের নামে আত্মহত্যার প্ররোচণার লিখিত অভিযোগ দিলে তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।