ইসরাইল-অধিকৃত গোলান মালভূমিতে রকেট হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিভাগেই শিশু ও কিশোর। তারা একটি মাঠে খেলা করছিল বলে দাবি করা হয়েছে। ইসরাইল দাবি করেছে, লেবানন-ভিত্তিক হিজবুল্লাহর নিক্ষেপ করা প্রায় ৩০টি \'প্রজেক্টাইল\' সেখানে আঘাত হানে। এই ঘটনা ওই এলাকার উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে হিজবুল্লাহ রকেট নিক্ষেপের কথা \'দৃঢ়ভাবে অস্বীকার\' করেছে। ইসরাইল দাবি করেছে, শনিবারের এই হামলাটি ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পরিচালিত হামলার পর সবচেয়ে ভয়াবহ। তারা বলছে, প্রায় ৩০টি \'প্রজেক্টাইল\' লেবানন অতিক্রম করে ইসরাইলি ভূখণ্ডে পতিত হয়। তারা এই হামলার জন্য লেবাননি গ্রুপ হিজবুল্লাহকে দায়ী করে। ইসরাইলের অনেক রাজনীতিবিদ ইতোমধ্যেই কঠোর প্রতিশোধ গ্রহণের দাবি তুলেছেন। গত প্রায় ১০ মাস ধরে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে নিয়মতি গোলা বিনিময় হচ্ছে। ওই হামলায় ১২ জন নিহত এবং অন্তত ২৯ জন আহত হয়েছে। ইসরাইল-নিয়ন্ত্রিত গোলান মালভূমির উত্তরে মাজদাল শামস গ্রামে হামলাটি হয্ এখানে একটি বিশাল দ্রুজ সম্প্রদায় বাস করে। গোলান মালভূমিতে প্রায় ২০ হাজার দ্রুজ আরব এবং প্রায় ৫০ হাজার ইসরাইলি ইহুদি বসতি স্থাপনকারী বাস করে। বেশিভাগ দ্রুত নিজেদের সিরিয়ান হিসেবে দাবি করে, তারা ইসরাইলি নাগরিকত্ব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে। ইসরাইল ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে সিরিয়ার কাছ থেকে এলাকাটি ছিনিয়ে নেয়। ১৯৮১ সালে এটিকে তারা নিজেদের অংশ করে নেয়। তবে আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে এটিকে অধিকৃত ভূখণ্ড হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। শনিবার যেসব স্থান আক্রান্ত হয়েছে, তার মধ্যে একটি ফুটবল মাঠও রয়েছ্ এখানে শিশু ও কিশোররা ফুটবল খেলছিল বলে দাবি করা হয়েছে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, এটি ৭ অক্টোবরের পর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। তিনি বলেন, \'এটি একটি খুবই মারাত্মক ঘটনা এবং আমরা অবশ্যই সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।\' তিনি বলেন, যে রকেট আঘাত হেনেছে, তা ফালাক ১ ইরানি রকেট, এতে ৫০ কেজি বিস্ফোরক ছিল। তিনি বলেন, এ ধরনের রকেট বিশেষভাবে হিজবুল্লাহ ব্যবহার করে। এতে ১২ ছেলে ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এই হামলার প্রেক্ষাপটে তিনি তার যুক্তরাষ্ট্র সফর কয়েক ঘণ্টা কমিয়ে ফিরে আসছেন। তিনি ফেরার সাথে সাথে সিকিউরিটি কাউন্সিলের সভা আহ্বান করবেন বলেও জানান। সূত্র : সিএনএন, টাইমস অব ইসরাইল এবং অন্যান্য