নেতাকর্মীদের ওপর অমানুষিক নির্যাতনে ছাত্রদলের নিন্দা

প্রকাশিতঃ জুলাই ২৯, ২০২৪ | ৯:০২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

নেতাকর্মীদের ওপর অমানুষিক নির্যাতনের দাবি করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ প্রকাশ করেছে ছাত্রদল। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি। এতে বলা হয়- চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শত শত ছাত্রদল নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে অবৈধ মাফিয়া খুনি সরকারের পেটোয়া বাহিনীর সদস্যরা। গ্রেফতার করার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে উপস্থিত করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। তুলে নিয়ে গুম করে রেখে, নির্যাতনের মাধ্যমে অবৈধভাবে গদি পাহারার দায়িত্ব নেওয়া বাহিনীগুলোর কর্মকর্তাদের মনমতো স্বীকারোক্তি আদায়ের অপচেষ্টার কয়েক দিন পর আটককৃত নেতাকর্মীদের আদালতে তোলা হচ্ছে। এমনকি কয়েকজনের আটকের বিষয়টি এখনো স্বীকার করা হচ্ছে না। মধ্যরাতে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে ব্লক রেইডের নামে ছাত্রদল নেতাকর্মী এবং সাধারণ ছাত্রদের গণগ্রেফতার অভিযান চলছে। মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘরে রাতের আঁধারে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হানা দেওয়ার মতো বীভৎস পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে সরকারের বিভিন্ন পেটোয়া বাহিনীর অতি উৎসাহী সদস্যরা। সেই সময়কার রাজাকারদের মতো করে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদল নেতাকর্মী এবং সাধারণ ছাত্রদের বাড়িঘর চিনিয়ে দিতে সাহায্য করছে। গ্রেফতারকৃত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের রিমান্ডে নিয়ে থানা হেফাজতে নির্মম শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক সুরক্ষা এবং উচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও সেগুলো মানার কোনো বালাই নেই। সিলিংয়ে উল্টো করে ঝুলিয়ে বেধড়ক পেটানোর সাথে হাত-পায়ের নখ তুলে ফেলার মতো বীভৎস নির্যাতন চালানো হচ্ছে ছাত্রদল নেতাদের ওপর। প্রতিদিন অসংখ্য নির্দোষ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিএনপি বা ছাত্রদলের সাথে ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতা পেলেই তাদের আটক করা হচ্ছে। গণগ্রেফতার এবং রিমান্ডে এ ধরনের পাশবিক নির্যাতন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং বাংলাদেশের সংবিধান ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম, বিশ্বের মানবিক ও বিবেকবান মানুষ, দেশের সর্বস্তরের জনগণকে গণগ্রেফতার ও রিমান্ডে পাশবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। যারা এ ধরনের বর্বর নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত, ভবিষ্যতে তাদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।