মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ৩ ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোঃ রাজু খান (৩৫) বাদি হয়ে মুন্সীগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে আমলি আদালত ২ এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান মামলাটি আমলে নিয়ে সিরাজদিখান থানাকে এফআইআর হিসাবে গ্রহন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।ওই আদালতে ব্রেঞ্চ সহকারী (পেশকার) সুমন ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহার ও বাদির সাথে কথা বলে জানাগেছে, ব্যাবসায়ী সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সিরাজদিখান উপজেলার রাজনগর গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেন গংদের সাথে মামলার বাদি রাজু খান ও তার পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। রাজু খান সিরাজদিখান উপজেলা সংগ্লগ্ন নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার আকবর নগর গ্রামের মোঃ ফিরোজ মিয়ার ছেলে। গত ২৬ জুলাই সন্ধার দিকে রাজু খানের দুই ভাই সজিব ও সিয়াম বাড়ি হতে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য জমা দিতে পাশের খাসনগর বাজারে যাচ্ছিলো। পথমধ্যে তারা সিরাজদিখান উপজেলার রাজনগর দ্বীণিয়া মাদ্রাসার সামনের রাস্তায় অটো গাড়িতে উঠার সময় রাজনগর গ্রামের আনোয়ার, উজ্জ্বল, আরিফুল, শহিদুল্লাহসহ ৪/৫জন তাদের উপর হামলা চালিয়ে সজিব মিয়ার কপালে ও গলায় ধারালো চাপাতি ও ছুড়ি দিয়ে কুপিয়ে সিয়ামকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় রাজু মিয়া চিৎকার শুনে ভাইদের উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে তার হাতে কুপিয়ে তাকেও জখম করে। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে সিরাজদিখান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করে।এ ব্যাপারে মামলার বাদি রাজু খান বলেন, আমি ইট বালুর ব্যাবসা করি। আনোয়ার দির্ঘদিন যাবৎ আমার ব্যবসার মধ্যে ঝামেলা করে আসছে। সেদিন ওরা আমার দুই ভাইকে রাস্তায় পেয়ে কুপিয়ে জখম করে তাদের কাছ হতে ২ লক্ষ ৫০হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। পরে আমি আমার ভাইদের উদ্ধার করতে গেলে ওরা আমাকেও কুপিয়েছে। আমি সিরাজদিখান থানায় মামলা করতে গিয়েছিলাম কিন্তু থানায় আমাদের মামলা না নেওয়ায় আমি আদালতে এসে মামলা করলাম।