পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান দাবি করেছেন, ৯ মে দাঙ্গার জন্য সেনাবাহিনী তাকে ক্ষমা চাইতে বলেছিল। শনিবার আদিয়ালা কারাগারে বসেই সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন খান। রোববার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে এ তথ্য জানা গেছে। কয়েকজন সাংবাদিক আদিয়ালা কারাগারে বন্দি ইমরান খানের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক কথা বলেছেন। এ সময় সাংবাদিকরা বলেছেন, ৯ মে’র সহিংস বিক্ষোভের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের সেনাবাহিনী ক্ষমা চাইতে বলেছেন। তিনি ক্ষমা চাইবেন কি না খানের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। তাদের প্রশ্নের উত্তরে খান বলেছেন, ক্ষমা চাওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ, এ ঘটনায় নিজেকে নির্দোশ মনে করেন খান। গত বছরের ৯ মে খানকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় উত্তেজিত হয়ে তার সমর্থকরা সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অবকাঠামোতে ব্যাপক হামলা চালায়। ওই হামলার জন্য খানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে ক্ষমা চাইতে বলে সেনাবাহিনী। তিনি বলেছেন, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে একজন সার্বক্ষণিক মেজর জেনারেলের নেতৃত্বে রেঞ্জার্সরা তাকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু ৭ মে থেকেই আইএসপিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আহমেদ শরিফ বলেছিলেন, পিটিআইয়ের সঙ্গে যে কোনো সংলাপ হতে পারে যদি দলটি তার নৈরাজ্যের রাজনীতির জন্য ক্ষমা চায়। কিন্তু বারবারই ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেন খান। ওই সময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংলাপে বসতেও রাজি ছিলেন না তিনি। তবে সম্প্রতি তিনি তার অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বারবার সরকারের সঙ্গে নয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। তার ভাষায়, সরকারের সঙ্গে আলোচনা একটি নিরর্থক অনুশীলন। তাই তিনি শুধু প্রকৃত কর্তৃপক্ষের সঙ্গেই আলোচনা করবেন।