রাজধানীতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বংশাল থানা ও যাত্রাবাড়ী থানা ঘেরাও করলে নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। এতে যাত্রাবাড়িতে ১০ জন এবং বংশালে ৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৬৫ জন। সোমবার দুপুরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে ধাওয়া দিয়ে এই দুই থানা ঘেরাও করে। এ সময় পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকেও দেখা যায় আন্দোলনকারীরা বংশাল থানা ঘেরাও করে রেখেছেন এবং পুলিশ থানার ভেতর থেকে অনবরত গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (রাত পৌনে ১২টা) রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে ১৫ জনের লাশ আনা হয়েছে। হাসপাতালটিতে ২৬৫ জন আহত আন্দোলনকারী চিকিৎসা নিচ্ছেন। কোনো ধরনের ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের লোকজন লাশ শনাক্ত করে নিয়ে গেছে। এদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- আলী রাজ (৩৫) ও সোহাগ (২২)। উভয়েই বংশাল পুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। হতাহতের বিষয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার সাজ্জাদ হোসেন জানান, সোমবার দুপুর থেকে হাসপাতালটিতে নিহত ও আহতদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। রাত পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ১৫ জনের লাশ আনা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বয়স ২০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে। আহতদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এদিকে পুরান ঢাকার সুপারিঘাট এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের একটি বোট জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। অন্যদিকে বিকালে চকবাজারের আশিক টাওয়ারে বিক্ষুব্ধ জনতা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ওই ভবনের কাঁচ ভেঙে পড়ে।