শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হওয়া মামলায় গ্রেফতার ১১৩ জনকে মুক্তির দাবিতে পরিবারের সদস্যরা মানববন্ধন করেছেন। রোববার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন হাতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনসহ তিন শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এরপর তারা অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ৩০টি মামলায় গ্রেফতার ১১৩ জনকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান তারা। স্বজনরা জানান, গত ৭-৮ বছর ধরে আসামিরা বিনা বিচারে কারাগারে রয়েছেন। তদন্তের কথা বলে মামলাগুলো ফেলে রাখা হয়েছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে এসব বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। তারা বলেন, গ্রেফতারের পর কারাগারে এখন পর্যন্ত ৫৪ ব্যক্তি মারা গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় জন্ম হয়নি এমনকি সে সময় ১০ বছর বয়স ছিল তাদেরও আসামি করা হয়েছে। দ্রুত ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে মিথ্যা মামলায় ভুক্তভোগীদের খালাস দেওয়ার দাবি জানান আইনজীবীরা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা তার স্বৈরশাসনকে দীর্ঘায়িত করতে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে নিরপরাধ ব্যক্তিদের মিথ্যা মামলা দিয়ে বন্দি করেছে। তারা অবিলম্বে ‘কথিত মানবতাবিরোধী’ মামলা প্রত্যাহার করে কারাবন্দি সবার মুক্তি দিতে হবে। অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ : মানববন্ধন শেষে তারা অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আইন উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিতে চান। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, আমি এই স্মারকলিপি নিতে পারি না। বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ের। আসাদুজ্জামান আন্দোলনকারীদের আইন উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পরামর্শ দেন।