হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরাল্লাহ বলেছেন, সিনিয়র কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে হিজবুল্লাহর প্রতিশোধমূলক অভিযানে তেলআবিবের কাছে গ্লিলট সামরিক ঘাঁটিকে প্রধান লক্ষ্য হিসাবে নেওয়া হয়েছে। রোববার আরবাইনের বার্ষিকী স্মরণে দেওয়া এক বক্তৃতায় নাসরাল্লাহ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আজ ২০ সফর, ইমাম হুসাইন (সা.)-এর চল্লিশতম বার্ষিকী। যিনি ত্যাগ, পরোপকার, অন্যায় প্রত্যাখ্যান ও আত্মসমর্পণের প্রতীক এবং বিচার দিবস পর্যন্ত বিপ্লবের শিরোমনি। হিজবুল্লাহ নেতা এ সময় ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটিতে রোববারের সামরিক অভিযানকে ‘আরবাইন অপারেশন’ বলে অভিহিত করেছেন। ইসরাইল দক্ষিণ লেবাননের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের সমস্ত রেডলাইন অতিক্রম করেছে উল্লেক করে নাসরাল্লাহ বলেন, হিজবুল্লাহ তাদের ‘আরবাইন অভিযানে’ দখলকৃত ভূমিতে কোনো বেসামরিক লোককে আঘাত করেনি। হিজবুল্লাহর মহাসচিব এ সময় ইহুদিবাদী সত্তার বিরুদ্ধে ফুয়াদ শুকরের শাহাদাতের প্রতিশোধ নিতে বিলম্বের কারণ সম্পর্কে বলেছেন, হিজবুল্লাহ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি গণহত্যামূলক আগ্রাসনের অবসানের জন্য গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনার সুযোগ দিতে চেয়েছিল। মূলত এ কারণেই প্রতিশোধ নিতে বিলম্ব হয়েছে। নাসরাল্লাহ বলেছেন, হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা তেলআবিবের কাছে গ্লিলট সামরিক গুপ্তচর ঘাঁটিকে নিশ্চিহ্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও শত্রুরা দাবি করেছে যে, তারা ড্রোনগুলোকে গুলি করে ফেলে দিয়েছে। তবুও বিপুল সংখ্যক ড্রোন নিরাপদে সীমান্ত অতিক্রম করে শত্রুদের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। প্রতিশোধমূলক অভিযান পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়েছে উল্লেখ করে নাসরাল্লাহ বলেন, হিজবুল্লাহর এ প্রতিশোধমূলক অভিযানের কারণে সমস্ত ইসরাইল স্থবির হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, এ অভিযানের প্রধান লক্ষ্য ছিল ইসরাইলি গুপ্তচর ঘাঁটি এবং বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটিগুলো, যা নিশ্চিতভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। বক্তৃতার শেষে, হিজবুল্লাহ গাজার নিরীহ ফিলিস্তিনিদের কখনোই ত্যাগ করবে না বলেও জানান হিজবুল্লাহ নেতা। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে যে কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের বিষয়ে হিজবুল্লাহ সিদ্ধান্ত নিতে একটুও দেরি করবেনা বলেও ঘোষণা দেন হাসান নাসরাল্লাহ।সূত্র: আল-মায়াদিন