জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহসভাপতি ও ঢাকা-১৮ আসনে গত উপনির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বলতে চাই, সাংগঠনিকভাবে দল ও ব্যক্তিগতভাবে সব প্রকার অন্যায় অপকর্ম, চাঁদাবাজি, দখলবাজির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করি। দল বা আমার নাম ব্যবহার করে কেউ কোনো অপকর্ম করতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করুন। সার্বিক সহযোগিতা করব। ঢাকা-১৮ আসনের জনগনকে নিশ্চিত করতে চাই- এ ‘আসন হবে মাদক, চাঁদাবাজী, দখলবাজী ও দুর্নীতিমুক্ত। বুধবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। জাহাঙ্গীর বলেন, বিএনপিতে কোনো চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে কোনো অপকর্মে লিপ্ত হয়, তাহলে সেই দায় দল বা আমি নেব না। দল থেকে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করব এবং তাদের বিচারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করব। তিনি বলেন, ঢাকা-১৮ আসনে গত দুই যুগেরও বেশী সময় ধরে আমি বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তারই ফলশ্রুতিতে গত উপনির্বাচনে ধানের শীষের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেছে। স্বাভাবিকভাবেই আমার সঙ্গে হাজারো নেতাকর্মী যোগাযোগ রেখে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে। কিন্তু লক্ষ্য করেছি, কয়েকটি গণমাধ্যমে উত্তরার চাঁদাবাজি, দখলবাজির কাল্পনিক ঘটনা উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেখানে আমার নাম জড়ানো হয়েছে যা খুবই দুঃখজনক, অসত্য ও ভিত্তিহীন। অভিযোগকে বানোয়াট উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। জাহাঙ্গীর বলেন, উত্তরার আবদুল্লাহপুরে ‘প্রানের বাংলাদেশ’ নামক পত্রিকা অফিস উচ্ছেদ ও লুটতরাজের যে অভিযোগ আনা হয়েছে সে বিষয়ে আমি মোটেও অবগত ছিলাম না। ওই ঘটনা জানার পর অভিযোগকারী পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও অভিযুক্ত মিলনকে ডেকে এনে বিষয়টি জানার চেষ্টা করি। পরবর্তীতে খবর পাই তারা নিজেরা দুইপক্ষ বসে বিষয়টি মিমাংসা করেছে। ওই অফিসটি দীর্ঘদিন বিএনপি\'র স্থানীয় কার্যালয় হিসেবে পরিচিত ছিল। এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেটি দখল করে তারা আওয়ামী লীগ কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার করে। আমি ‘প্রানের বাংলাদেশ’ পত্রিকার প্রতিনিধির কাছে জানতে পারি, গত ৫ আগষ্ট হতে অফিসটি তারা ব্যবহার করা শুরু করেছিল। ভবিষ্যতে আমার সংক্রান্ত কোনো প্রকার সংবাদ প্রচারের পূর্বে সেটার সত্যতা যাচাই করে নেওয়ার জন্য সাংবাদিকদের কাছে বিনীত অনুরোধ রইল। কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অসত্য সংবাদ প্রচার করলে তার ব্যক্তিগত ও সামাজিক মর্যাদাহানী হয়।