নওগাঁর আত্রাইয়ে পাট মৌসুমে অনাবৃষ্টির কারনে সৃষ্ট তিব্র তাপপ্রবাহ ও আকস্মিক বন্যার প্রভাবে বিগত বছর গুলোর তুলনায় এবছর কম জমিতে কৃষক পাট চষ করেছেন । নষ্ট হয়ে গেছে অনেক কৃষকের পাট ক্ষেত। দেশের সোনালী আঁশ খ্যাত পাট চাষে চলতি মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার কৃষকরা। তবে পাট চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পাটের ন্যায্য মূল্যে পেলে কৃষকেরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে বলছেন কৃষক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে নব্বই জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে এক কেজি করে পাটের বীজ দেওয়া হয়েছিল। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২শত ৫৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর বিপরীতে ২শত ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। উপজেলার দমদমা গ্রামের কৃষক মো. আসলাম বলেন এবছর পাট আবাদের শুরুর দিকে প্রচন্ড গরম আর অনাবৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ হওয়ায় আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলেও পাট চাষ করেছিলাম। পাট কিছুটা বড় হলে এবং পাটের বয়স না হতেই আকস্মিক বন্যা আসার কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লাভ ক্ষতির পরিমাণ বিবেচনায় হতাশ কৃষক । সিংসাড়া গ্রামের কৃষক খালেক আলী বলেন আমি বেশ ক\' বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম।পাট ভালো ও হয়েছিল কিন্তু হঠাৎ বন্যা আসার কারণে বেশকিছু পাট নষ্ট হয়েছে ।আমি কিছু পাট কাটতে পেরেছি।তবে খরচের টাকা উঠবে না এবছর। দীঘা গ্রামের কৃষক নয়ন বলেন আমি এ বছর ১.৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। গত বছরের চেয়ে এবছর পাটের ভালো হয়েছিল।খরচ অনেক বেশি হওয়ায়। বিক্রি ২হাজার ৬০০টাকা মন দামে বিক্রি করে ও লাভ তো দূরের কথা আবাদ করার খরচ উঠানো দায় হয়ে পড়েছে ।এদিকে পাট ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন গুণগতমান ভেদে বাজারে পাটের দাম যাচ্ছে ২হাজার ৬০০ শত থেকে ৩হাজার ১০০ শত টাকা মন। তারা আরো বলেন ব্যাংক থেকে প্রয়োজন মতো টাকা উত্তোলন করতে না পারায় পাটের দাম অনেক সময় কমবেশি হচ্ছে। তবে পাটের দাম আরো কমেতে পারে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন এ বছর উপজেলায় পাট চাষীদের কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাজারে ৩হাজার ৩০০ থেকে ৩হাজার ৬০০ টাকা দামে কৃষক পাট বিক্রি করতে পারলে তাদের ক্ষতির কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবে বলে মনে করি।