ভারতবিরোধী ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান তুলে মালদ্বীপের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পড়ে জয়ী হয়েছিলেন মোহাম্মদ মুইজ্জু। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেই মালদ্বীপে থাকা ভারতীয় সেনা অপসারণের নির্দেশ দেন তিনি। চীনপন্থি হিসেবে পরিচিত মুইজ্জুকে নিয়ে বরাবরই উদ্বিগ্ন ছিল দিল্লি। ভারতবিরোধী প্রচারণা ও বিদ্বেষ বাড়তে থাকায় মালদ্বীপ ভ্রমণ কমিয়ে দেয় ভারতের পর্যটকেরা। তবে সাম্প্রতিক উত্তেজনা কাটিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহ দেখাচ্ছে মালদ্বীপ। শুক্রবার দিল্লিতে পঞ্চম প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংলাপে অংশ নিয়েছে দুই দেশ। এই বৈঠকে অংশ নেয় ভারতের প্রতিরক্ষাসচিব গিরিধর আরামানে ও মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ইব্রাহিম হিলমি। দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে এটি ছিল পঞ্চম বৈঠক। চতুর্থ বৈঠকটি হয়েছিল সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলিহ যখন ক্ষমতায় ছিলেন। বৈঠকের পর ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠককে ‘ফলপ্রসূ’ আখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। যেমন সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের আসা–যাওয়া এবং দক্ষতা বৃদ্ধি–সংক্রান্ত প্রকল্পগুলোর রূপায়ণ। আসন্ন দ্বিপক্ষীয় সামরিক মহড়ায় যোগদানের বিষয়টিও আলোচনা হয় এই বৈঠকে। চলতি বছরের ১০ মে ভারতে সফরে যান মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা জমির। পরের মাসে নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় দফার প্রধানমন্ত্রিত্বের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রথমবার দিল্লি সফরে যান প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। সবমিলিয়ে মালদ্বীপ ইস্যুতে কিছুটা হলেও আলো দেখছে ভারত।