নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক আর পৃথিবীতে নেই।

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪ | ৯:১১ পূর্বাহ্ণ
ভুপাল চন্দ্র রায়, জেলা সংবাদদাতা, নওগাঁ, রাজশাহী

নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রহমানিয়া আলম রিজভী বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। কয়েক বছর আগে ছেলের মৃত্যুতে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলেন আব্দুল মালেক। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী শাহানাজ মালেক ও তার মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। নওগাঁ সদর আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যের গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে। তবে তিনি সপরিবারে বসবাস করতেন শহরের মুক্তির মোড় এলাকায়। তার স্ত্রী শাহানাজ মালেক জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তথ্যমতে, আব্দুল মালেক দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থও হয়েছিলেন। তবে হঠাৎ করে অসুস্থতাবোধ করলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বিকেল ৪টার দিকে মারা যান আব্দুল মালেক। এর আগে ২০১৩ সালের ৬ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল জলিলের মৃত্যু হলে নওগাঁয় আওয়ামী লীগের হাল ধরেন আব্দুল মালেক। সেসময় দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখেন এই নেতা। যার ফলে উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আব্দুল মালেক প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তবে গ্রুপিং রাজনীতির কারণে অনেক নাটকীয়তার পর ২০১৮ সালে প্রয়াত নেতা আব্দুল জলিলের ছেলে ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জনকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত জলিলপুত্র জন ছিলেন নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য। এদিকে আব্দুল মালেকের মৃত্যুতে জেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগসহ দলটির অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশসহ বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে।