মুন্সীগঞ্জে শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ।

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪ | ১০:৩৫ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় অসদাচরণ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে এক শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে  মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর ) সকাল সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার রসুলপুর এলাকায় অবস্থিত গজারিয়া বাতেনিয়া আলিম মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফজলুল হকের অপসারণের দাবিতে এ বিক্ষোভ করে  শিক্ষার্থীরা।আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফজলুল হক ছাত্রদের সাথে অশোভন আচরণ করছেন। কখনো কখনো তিনি অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সেজন্য তাকে অপসারণের দাবিতে আজ তারা আন্দোলন করেছেন বলে জানান তারা।আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়াম বলেন, ‘শিক্ষক ফজলুল হক আমাদের সাথে অশোভন আচরণ করেন। অশালীন ভাষা ব্যবহার করে কথাবার্তা বলেন। মেয়েদের জড়িয়ে আমাদের অপমান অপদস্থ করেন। তিনি যে ভাষায় কথা বলেন সেটা কোন শিক্ষকের ভাষা হতে পারে না। রাস্তাঘাটে দেখা হলেও তিনি আমাদের গালিগালাজ করেন। এই শিক্ষককে আমরা আর এই প্রতিষ্ঠানে চাই না। যদি তিনি থাকে তাহলে আমরা থাকবো না।নবম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী সম্রাট বলেন, বাংলা বিষয়ের শিক্ষক ফজলুল হক আমাদের গলায় পারা দিবেন বলেন। গালিগালাজ করে শিক্ষার্থীদের কলিজা বের করে ফেলার হুমকি দেন। আমরা তার ছাত্র হওয়া দূর থাক ঝাড়ুদার হওয়ার যোগ্য নই এসব কথা বলেন। উনার এই ধরনের কর্মকাণ্ডে আমরা বিরক্ত। আমরা ওনার অপসারণ চাই’।বিষয়টি সম্পর্কে অভিযুক্ত শিক্ষক ফজলুল হক বলেন, কিছু শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। তারা শিক্ষার্থীদের আমার বিরুদ্ধে লাগিয়েছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানের কিছু অনিয়ম নিয়ে আমি মুখ খুলেছিলাম এঘটনায় কিছু শিক্ষক আমার শত্রু হয়েছে। আপনারা খোঁজখবর নিয়ে দেখেন আমার কোন দোষ নাই। আমি ন্যায়ের পথে আছি, আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ সব মিথ্যা। বিষয়টি সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মাওলানা মুক্তার হোসেন বলেন, সে ২০০৭ সাল থেকে ওনার বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি। কখনো তিনি শিক্ষকের নামে মামলা করেন, কখনো শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে  অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেন। রাস্তাঘাটে দেখা হলে শিক্ষার্থীদের মারধর করতে যান। বিভিন্ন ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি আমরা গজারিয়া উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী স্যারকে জানিয়েছিলাম। এসব ম্যানেজিং কমিটি তার বেতন পর্যন্ত স্থগিত করে রেখেছে তারপরও থামানো যাচ্ছে না। আমরা বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলবো।গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। এই ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।