আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ভারত পালিয়ে যেতে মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও জুড়ী সীমান্তে আত্মগোপন করেছেন বলে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন চলছে। এমন কি তিনি সীমান্তে আটক হয়েছেন বলেও গুজব ছড়িয়েছে। তবে সোমবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিজিবি, পুলিশ কিংবা দায়িত্বশীল কোনো সূত্র তা নিশ্চিত করতে পারেনি। জানা গেছে, শনিবার শ্রীমঙ্গলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা বিএম সিরাজুল ইসলামকে যৌথবাহিনী আটক করার পর অনেকের মুখে শোনা যায় শেখ হাসিনার অপকর্মের অন্যতম সহযোগী জাহাঙ্গীর কবির নানক ভারত পালিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় আত্মগোপন করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে ছদ্মবেশে শ্রীমঙ্গলের চা বাগান এলাকায় অবস্থান করেন। সীমান্ত অতিক্রম করতে না পেরে জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা ও ফুলতলা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা চালিয়ে সফল হননি। এরপর থেকে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের বড়াইল, কুমারশাইল, পাল্লাথল ও দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের বোবারথল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ খুঁজছেন। তবে এ ব্যাপারে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি। বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ জানান, অসমর্থিত সূত্র থেকে তিনিও এ ধরনের খবর পাচ্ছেন। বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা তার কাছেও জানতে চাচ্ছে। তিনি তার অবস্থান থেকে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তবে তিনি মনে করেন সীমান্ত এলাকায় বিজিবির চিরুনি অভিযান চালানো উচিত। বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদি হাসান জানান, এ ধরনের একটি খবর বিজিবির কাছেও রয়েছে। তবে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য মেলেনি। বিষয়টি জানার পরই সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা সীমান্তে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছেন মর্মে সোমবার দুপুর থেকে লোক মুখে খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুকেও এরকম খবর প্রচার হয়। এ খবরে দুপুর থেকে ফুলতলা সীমান্তে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে খবরের কোনো সত্যতা পায়নি। জানতে চাইলে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদি হাসান সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, সীমান্তে কাউকে আটক করা হয়নি। তবে, নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।