কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী তামজিদ হোসেন জনিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আওয়ামী লীগের নেতা তিন কাউন্সিলরকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে র্যাব। রোববার তাদের তিনজনসহ মোট ছয় আসামিকে জামিন দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানার আদালত। এ ঘটনা শহরে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা। তাৎক্ষণিক কোর্ট চত্বরে জড়ো হয়ে তাদের জামিন বাতিল ও বিচারককে প্রত্যাহারের দাবি করেন তারা। এ ঘটনার প্রতিবাদে দুপুরে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন ছাত্র-জনতা। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের সামনে বিক্ষোভে ছাত্র-জনতা, বিএনপি ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ তিন শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। জামিন পাওয়া তিন কাউন্সিলর হলেন কুষ্টিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাইফুল হক মুরাদ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নজরুল ইসলাম নজু ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আনিছ কোরাইশী। তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বিক্ষোভ মিছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়ার অন্যতম সমন্বয়ক তৌকির আহমেদ বলেন, তাদের জামিন বাতিল, বিচারক মাহমুদা সুলতানাকে প্রত্যাহার, আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলার সব আসামির শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচির ডাক দেব। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, আন্দোলনকারীকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিকে জামিন দিয়েছেন আওয়ামী লীগের পরিবারের বিচারক মাহমুদা সুলতানা। তিনি আওয়ামী লীগের খুনিদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আদালত পুলিশের ইনস্পেকটর জহুরুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত সূত্র জানিয়েছে, তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়াই মানববন্ধন সমাপ্ত করে আদালত ছেড়ে চলে গেছে ছাত্র-জনতা। কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এলোপাতাড়ি মারধর ও গুলি করে তামজিদ হোসেন জনি নামে এক আন্দোলনকারীকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করা হয়। মামলায় কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফকে নির্দেশদাতা আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার কাউন্সিলররা এই মামলার আসামি। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।