ক্যাম্পাসে আর মাফিয়াতন্ত্র চলবে না: রাবি উপাচার্য

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪ | ১১:০৪ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেক্স

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব বলেছেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ বা এর বিরুদ্ধে যে মতামত তৈরি হয়েছে, এগুলো আমার কাছে মনে হয় না রাজনীতির বিরুদ্ধে মতামত। সেটা অপরাজনীতির বিরুদ্ধে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে যে রাজনৈতিক চর্চা ছিল, সেটাকে আসলে রাজনীতি বলা যাবে না। সেটা মাফিয়াতন্ত্র ও সিন্ডিকেট। রাজনীতির নামে যা হয়েছে তা বন্ধ করতে হবে। শনিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। উপাচার্য বলেন, আমরা ক্যাম্পাসের অরাজনৈতিক, রাজনৈতিক ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসব। সব কিছু নিয়ে আমরা একটা ফ্রেমওয়ার্ক দাঁড় করাতে চাই। তারপরই রাকসুর দিকে মুভ (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন) করব। বিশ্ববিদ্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের স্বাধীনভাবে কাজ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতায় গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর প্রশাসনের তরফ থেকে বাধা সৃষ্টি করা হবে না। যদি কোনো প্রকার চাপ সৃষ্টি করা হয় শুধু আমার কান পর্যন্ত পৌঁছে দিলেই হবে। আমি এগুলো বরদাশত করব না। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন দোকানে ছাত্রদের বাকি খাওয়ার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, এটি একটি উপসর্গ, কোথাও অপরাজনীতি চলতে থাকলে এটি থাকে। যেখানে অপরাজনীতি নেই সেখানে বাকি খাওয়ার কোনো কালচারও নেই। একটা বিপ্লবের পর মানুষ রাতারাতি তার স্বভাব পরিবর্তন করতে পারে না। কিছু কিছু শুভ পরিবর্তন ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। আমি প্রক্টরকে বলব স্টেট দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে একটা ডাটাবেজ তৈরি করার জন্য, কোন কোন দোকানে এখনো এই সংস্কৃতি চালু আছে। সম্প্র্রতি ক্যাম্পাসে বেশ কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, আগামীকাল থেকেই একটা শক্তিশালী যৌন নিরাপত্তা সেল কাজ শুরু করবে। আমরা কোনো মানুষের অনর্থক অসম্মান যেমন চাই না, তেমনি কেউ যদি এ ধরনের ন্যক্কারজনক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে অবশ্যই তাকে এর ফল ভোগ করতে হবে। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামাণিক, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ প্রমুখ।