‘সাবা’ নিয়ে প্রবাসী, আন্তর্জাতিক দর্শক ও সমালোচকদের আগ্রহ ছিল অনেক বেশি। এতে পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক মায়ের প্রতি যত্নশীল মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন। এই চরিত্রে অভিনয়ের সময় তিনি আবেগাপ্লুত হয়েছেন। সিনেমাটি দেখেও অনেক দর্শক কেঁদেছেন। সিনেমাটি প্রথমবারের মতো টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নিয়েছে। ‘সাবা’র প্রিমিয়ারে পরে বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেহজাবীন বলেন, আমি সব সময়ই অপেক্ষা করেছি এ রকম একটি চরিত্রের জন্য, যে চরিত্রটি ভার বহন করে। যেটা হবে একেবারেই আলাদা। যে চরিত্রে দর্শক আগে আমাকে দেখেননি, সেটাই বলবেন দর্শক। পরে পরিচালক মাকসুদের প্রস্তাব ও সিনেমাটি নিয়ে আত্মবিশ্বাস আমাকে আকৃষ্ট করেছে। চিত্রনাট্য পড়ে কি আপনার মনে হয়েছিল এই চরিত্রটিই আপনার জন্য? জবাবে মেহজাবীন বলেন, অনেকটাই সে রকম। ১২ বছর ধরে আমি বিভিন্ন রকম নাটকের চরিত্রে অভিনয় করেছি; কিন্তু আমি এই সময়ে কখনই সিনেমার গল্প পছন্দ করিনি। মেহজাবীন বলেন, এ ধরনের চরিত্রে আমি আগে অভিনয় করিনি। যে কারণে সাবা চরিত্রটি ছিল আমার জন্য একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা। এই চরিত্র আমার জন্য প্রথম এবং নতুন অভিজ্ঞতা। অভিনেত্রী বলেন, এটা একই সঙ্গে আমার পরিচালকের শাশুড়ির কথা, চিত্রনাট্যকারের মায়ের গল্প। যে কারণে অনেক গভীরভাবে চরিত্র সম্পর্ককে আলোচনা করতে পেরেছি। ‘সাবা’ হয়ে ওঠার পেছনের গল্প নিয়ে মেহজাবীন বললেন, সাবার চিত্রনাট্য পড়ে অন্যরকম অনুভূতি হয়। সাবা এমন একটা মেয়ে, যে অনেক সাহসী। সিনেমাটি দেখলেই বুঝবেন। আমি কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে এতটা সাহসী নই। এটা আগেই বলে রাখলাম। পরে আমাকে চরিত্রের জন্য সাহসী ভূমিকা নিতে হয়েছে। আসলে বাস্তবে আমি এতটা সাহসী নই। কোলাইডারের এই সাক্ষাৎকারে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনেমার পরিচালক মাকসুদ হোসাইন, অভিনেতা মোস্তফা মন্ওয়ার। এবার টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয়েছিল সিনেমাটি। এই বিভাগে আরও ২৩টি সিনেমা জায়গা করে নেয়। পরিচালক মাকসুদ জানান, সিনেমাটি এবার বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে এশিয়ান প্রিমিয়ার হবে। আগামীকাল থেকে ২৯তম বুসান উৎসব চলবে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত। উৎসবে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তাদের।