আগের বছরের সেপ্টেম্বরের চেয়ে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ৮০ শতাংশ বেশি প্রবাসী আয় এলো। গত মাসে প্রবাসীরা পাঠান ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা) যা ২৮ হাজার ৮৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আগের বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা পাঠান ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার। মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) প্রবাসী আয়ের এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ছাত্র আন্দোলনে তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকারকে অসহযোগিতার অংশ হিসেবে প্রবাসীরা বৈধ পথে আয় পাঠানো কমিয়ে দেন। ফলে জুলাই মাসে প্রবাসী আয় কমে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলারে দাঁড়ায়। এরপর শেখ হাসিনার পতন হলে আগস্ট মাসে প্রবাসী আয় বেড়ে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলারে দাঁড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় সদ্য বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয় আবারও বাড়ল। তবে চলতি বছরের জুনের চেয়ে সেপ্টেম্বর মাসের প্রবাসী আয় কম। জুনে প্রবাসী আয় আসে ২৫৩ কোটি ৮৬ ডলার। আগের বছরের সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয় প্রায় চার বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামে। তখন বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় পাঠাতে প্রবাসী আয়ের ডলারের দাম বাড়ানোসহ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু গত জুলাইয়ের আন্দোলনে আয় আবারো কমে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবাসী আয়ের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আসে ৬৩ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার ডলার। কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় আসে ১০ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আসে ১৬৫ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় আসে ৬২ লাখ ১০ হাজার ডলার। তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর তিন মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ৬৫৪ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার ডলার বা ৬ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার। প্রবাসী আয় সংগ্রহকারী একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনে করছেন, প্রবাসী আয়ের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে বছর শেষে প্রবাসী আয় ২৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে। যা হবে একক বছর হিসেবে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আসা বছর।