ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরাইলের ভেতরে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বুধবার এএফপির প্রতিবেদনে হুতিদের সশস্ত্র বাহিনী বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইরান সমর্থিত সংগঠনটি গতকাল তেল আবিব ও ইলাতে ইসরাইলি সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানোর পর বুধবার ইসরাইলি ভূখণ্ডের আরও ভেতরে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার দাবি করেছে। একদিন আগেই ইসরাইলে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হয়েছে। শুরুতে গাজায় সীমাবদ্ধ থাকলেও প্রায় ১১ মাসব্যাপী এ সংঘাত এখন মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। হুতিদের বিবৃতিতে বলা হয়, ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী জায়োনিস্ট শাসকের (ইসরাইল) বিরুদ্ধে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে। এ অভিযানের লক্ষ্য ছিল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অভ্যন্তরের সামরিক অবকাঠামো। এই হামলায় তিনটি কুদস ৫ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সফলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। এসব জায়গায় শত্রুপক্ষ গোপনে সামরিক কার্যক্রম চালাচ্ছিল, বিবৃতিতে আরও বলা হয়। হুতিদের এ হামলা কখন হয়েছে, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। গত সপ্তাহে হুতিরা তেল আবিবের বেন গুরিওন বিমানবন্দরে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করে। এর জবাবে গুরুত্বপূর্ণ হোদেইদা বন্দরসহ ইয়েমেনের অন্যান্য অংশে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। হুতিরা প্রায় এক দশক ধরে ইয়েমেনের একটি বড় অংশে আধিপত্য বিস্তার করছে। সংগঠনটি ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচরণকারী ‘অ্যাক্সিস অব রেজিসট্যান্সের’ অন্যতম সদস্য। নভেম্বর থেকে শুরু করে হুতিরা লোহিত সাগরের উপকূল ও এডেন উপসাগরে চলাচলকারী জাহাজের ওপর হামলা চালিয়ে এসেছে। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে তারা এসব হামলা চালানোর দাবি করেছে।