পশ্চিমবঙ্গের ত্রিধারা সম্মিলনী পূজা মণ্ডপ থেকে নয়জনকে আটক করে নিয়ে গেল পুলিশ। তা নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হল কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজারের কাছে। আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, আরজি কর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে বুধবার ত্রিধারার পূজা মণ্ডপের সামনে স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল। বিলি করা হচ্ছিল লিফলেট। সেইসময় নয়জন আন্দোলনকারীকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। আর সেই ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মতলা থেকে লালবাজারের উদ্দেশ্যে মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে তাদের বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটেই আটকে দেওয়া হয়েছে। আর সেই ঘটনার প্রতিবাদে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে। তারা রাস্তায় বসে পড়েছেন। তাদের দাবি, কী কারণে আটক করা হয়েছে প্রতিবাদীদের, সেটা জানাতে চায়নি পুলিশ। যদিও বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। নারীদের হাত গায়ে দিয়েছিলেন পুরুষ পুলিশ অফিসার? তারইমধ্যে একটি ভিডিও (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে যে ত্রিধারার সামনে নারী আন্দোলনকারীদের হাত ধরে টানছিলেন এক পুরুষ। তিনি কলকাতা পুলিশের সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও তিনি নারীদের গায়ে হাত দিয়েছিলেন কিনা, তা ঠিক স্পষ্ট নয়। ভাইরাল ভিডিওতে (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখা গিয়েছে যে এক পুরুষ আন্দোলনকারীর হাত ধরেছেন ওই ব্যক্তি। সেইসময় দুজন নারী হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছেন। তাদের হাতে পোস্টার থাকায় পুরোটা স্পষ্ট হয়নি। হাত কিছুটা ঢেকেছিল। সেই বিষয়টি নিয়েও পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ম্যাডক্সেও ‘বিচার’ চেয়ে স্লোগান ওঠে তবে শুধু ত্রিধারা নয়, আজ দক্ষিণ কলকাতার অপর একটি জনপ্রিয় পুজো মণ্ডপ ম্যাডক্স স্কোয়ারেও ‘জাস্টিস’ চেয়ে স্লোগান তোলা হয়। বিলি করা হয় লিফলেট। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে ‘জাস্টিস’-র স্লোগান তোলেন দর্শনার্থীরাও। তবে সেখানে কোনও সমস্যা হয়নি। ‘ধিক্কার’ পুলিশকে, তোপ চিকিৎসকদের কিন্তু ত্রিধারায় আন্দোলনকারীদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর সেই ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দ্রোহ প্রতিবাদীদের ত্রিধারা সম্মিলনী থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। বিরাট জনতা ও জুনিয়র ডাক্তারের অংশ লালবাজারে গিয়েছেন। ধিক্কার।’