তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই ছিং দ্য বলেছেন, তাইওয়ানের ওপর চীনের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার নেই। কারণ তাইপেই কোনোভাবেই বেইজিংয়ের অধীনস্থ নয়। এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি। জাতীয় দিবসের বক্তৃতায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ লাই চিং বলেন, ‘দ্য রিপাবলিক অব চায়না (তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক নাম) এবং পিপলস রিপাবলিক অব চায়না (চীন) একে অপরের অধীন নয়’। ‘এই ভূমিতে (তাইওয়ান) গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা বাড়ছে এবং তা বিকশিত হচ্ছে। পিপলস রিপাবলিক অব চায়নার (চীন) তাইওয়ানের প্রতিনিধিত্ব করার কোনো অধিকার নেই।’ বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে চীন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা পূরণ করবে বলে বিশ্বাস তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে চীনের ভূমিকা চান তিনি। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা আশা করি যে চীন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা পূরণ করবে, এটি তার প্রভাব প্রয়োগ করবে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের অবসান ঘটাতে অন্যান্য দেশের সঙ্গে কাজ করবে’। ‘আমাদের বিশ্বাস চীন তার আন্তর্জাতিক দায়িত্ব গ্রহণ করবে এবং তাইওয়ানের সঙ্গে এই অঞ্চল এবং বিশ্বের শান্তি, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধিতে অবদান রাখবে’। চীনের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার ইচ্ছার কথা জানিয়ে লাই আরো বলেন, ‘আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, সংক্রামক রোগ মোকাবেলা এবং তাইওয়ান প্রণালীর দুই পাশের জনগণের মঙ্গলের জন্য শান্তি ও পারস্পরিক সমৃদ্ধির জন্য আঞ্চলিক নিরাপত্তা বজায় রাখার বিষয়ে চীনের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক’। চীন দাবি করে আসছে, তাইওয়ান তাদের একটি প্রদেশ। আবার উল্টো দাবি করছে তাইওয়ান। তাদের ভাষ্য, ১৯১১ সালের বিপ্লবের পর যে আধুনিক চীন গড়ে উঠেছিল, কোনোকালেই তার অংশ ছিল না তাইওয়ান। এমনকি ১৯৪৯ সালে মাও সে–তুংয়ের হাত ধরে গড়ে ওঠা গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের অধীনেও ছিল না তারা। আবার কেউ কেউ চীনের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পক্ষে। পশ্চিমা বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, চীন যদি তাইওয়ান দখল করে নেয়, তাহলে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দেশটির শক্তি আরও বেড়ে যাবে। তবে এ নিয়ে ভিন্নমত চীনের। দেশটি বলছে, তাইওয়ান নিয়ে তাদের উদ্দেশ্য একেবারেই শান্তিপূর্ণ।