‘ফাউল’ খেলে ডুবেছে ক্রীড়া পরিদপ্তর ভুয়া প্রশিক্ষণার্থী দেখিয়ে অর্থ লোপাট

প্রকাশিতঃ অক্টোবর ১২, ২০২৪ | ৭:১৮ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রতি বছর ক্রীড়াসামগ্রী কেনার জন্য বাজেট বরাদ্দ থাকে। তবে কার্যক্রম শুরুর আগেই ব্যয় দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করেন জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তারা। উত্তোলিত অর্থের বিপরীতে ভুয়া ভাউচার এবং জাল স্বাক্ষর সরবরাহ করেন তারা। দুর্নীতিবাজ এসব কর্মকর্তার চাহিদাপত্র পেলেই অর্থ ছাড়ে মরিয়া হয়ে ওঠেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের চিফ অ্যাকাউন্টস, ফিন্যান্স অফিসার ও জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কর্মকর্তারা। এমনকি পরিচালকের অনুমোদন ও স্বাক্ষর ছাড়াই ১১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বিল দেওয়া হয়েছে। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে ক্রীড়াচর্চার মাধ্যমে প্রতিভা অন্বেষণ ও বিকাশে কাজ করা ক্রীড়া পরিদপ্তরে চলছে এমন অনিয়ম। দিনের পর দিন এভাবে ‘ফাউল খেলে’ সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি ডুবতে বসেছে। কোনো কর্মকর্তা এসবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে পরিদপ্তর ছাড়তে বাধ্য করা হয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যাত্রা করে। যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি এরই মধ্যে নিয়েছেন বেশ কিছু উদ্যোগ। দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা-উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী কমিটি ভেঙে দেওয়া, ৪৫ ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতিদের অব্যাহতিসহ নতুন করে ক্রীড়া ফেডারেশন সাজাতে তৈরি হয়েছে সার্চ কমিটি। গত ১২ সেপ্টেম্বরে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেটের দোকান বরাদ্দের বিষয়গুলো সরেজমিন দেখতে যান। পরে ক্রীড়া উপদেষ্টা ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন, ‘আজ এনএসসির অধীনে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের দোকান পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। ২০-২২ টাকা বর্গফুট হিসেবে এনএসসির কাছে ভাড়া গেলেও সরেজমিন জানতে পারলাম, দোকানগুলো ১৭০-২২০ টাকা বর্গফুট করে ভাড়া দিচ্ছে। বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে সরকার। অর্থাভাবে ফেডারেশন চলছে না, টুর্নামেন্ট হয় না, মাঠের সংস্কার হয় না। অথচ বছরের পর বছর এভাবেই হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি গেছে।’ ক্রীড়া উপদেষ্টার মনে হচ্ছে, তাকে দুর্নীতির মহাসাগরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পটপরিবর্তনের পর দেশের সব ক্রীড়া ফেডারেশনে পরিবর্তনের হাওয়া বইলেও ব্যতিক্রম ক্রীড়া পরিদপ্তর। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে তাদের রোষানলে পড়তে হয়েছে পরিচালককে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) আ ন ম তরিকুল ইসলাম অনিয়ম ও দুর্নীতি করছেন এমন অভিযোগ তুলে দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার অপসারণ চেয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন। ঘটনার গভীরে গিয়ে পাওয়া যায় ভিন্ন চিত্র। মূলত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিনের অবৈধ প্রক্রিয়ায় ভুয়া বিল-ভাউচার ও জাল স্বাক্ষরে ক্রীড়াসামগ্রীর টাকা উত্তোলনে সহযোগিতা না করায় তার বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছেন ষড়যন্ত্রকারীরা। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সর্বশেষ গত ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ক্রীড়া পরিদপ্তরের বিভিন্ন কোডে প্রাপ্ত সরকারি বরাদ্দ থেকে কোনো টাকা ওঠানো হয়নি। অথচ অর্থবছরের এ সময়ে মোট বরাদ্দের এক-চতুর্থাংশ, অর্থাৎ সাড়ে ৪ কোটি টাকার বেশি উত্তোলন হয়ে যেত। সঠিক চাহিদাপত্র ও যথাযথ কারণ ছাড়াই বরাদ্দপত্র না পাওয়ায় এ বছর অক্ষত রয়েছে ক্রীড়া দপ্তরের তহবিল। বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি প্রশিক্ষণ বাস্তবায়নের জন্য সরকারি বরাদ্দ চলতি বছরে এখনো জেলা ক্রীড়া অফিসারদের অনুকূলে ছাড় করা হয়নি। আগাম অর্থ নিয়ে যে চক্রটি পুরোটাই আত্মসাৎ করতেন, তারাই পরিচালককে অপসারণের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ফলে ক্রীড়াসামগ্রী না কিনে আগাম অর্থ উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত চক্রটি চরম ক্ষেপেছে। অবৈধ অর্থে এতদিন আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া কর্মকর্তার এই চক্রের মূলহোতাদের মধ্যে অন্যতম ক্রীড়া পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ফেরদৌউস আলম, সহকারী পরিচালক (সংগঠন) আলীমুজ্জামান এবং সহকারী পরিচালক আজিম হোসেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ, ঠাকুরগাঁওয়ের মনিরুজ্জামান, ঢাকার জাহাঙ্গীর হোসেন, নারায়ণগঞ্জের নাজিম উদ্দীন ভূঁইয়া, পটুয়াখালীর প্রাক্তন জেলা ক্রীড়া অফিসার আজিম হোসেন, পিরোজপুরের সাফায়েতুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার তানভীর হোসেন, ময়মনসিংহের আল আমিন, ঝিনাইদহের মিজানুর রহমান, মৌলভীবাজারের মাজহারুল মজিদ, বাগেরহাটের হুসাইন আহমেদ, সাতক্ষীরার মাহবুবুর রহমান ও বরিশাল জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম শুভ। তারা সবাই লুটপাটে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালকের স্বাক্ষর ও অনুমোদন ছাড়াই মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে উপ-পরিচালক এসআইএম ফেরদৌউস আলম, সহকারী পরিচালক আলীমুজ্জামান ও আজিম হোসেন ক্রীড়াসামগ্রী সরবরাহ বাবদ ১১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বিল প্রদান করেছেন। নিয়ম মানা মেনে অর্থ লুটপাটে ক্রীড়া পরিদপ্তর আয়োজিত বিভিন্ন টুর্নামেন্টের নামের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেলের নাম যুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, বর্তমান পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণের পর ক্রীড়া পরিদপ্তরের ছাড়কৃত অর্থ ব্যয় না হওয়ায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা তহবিলে ফেরত আনা হয়েছে। এর আগে এমন নজির ছিল না। আবার বরাদ্দ হওয়া অর্থের কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় ছাড় হয়নি চলতি বছরের বরাদ্দকৃত অর্থ। ফলে ক্রীড়া পরিদপ্তরের স্বচ্ছতা যেমন বাড়ছে, তেমনি সরকারের আর্থিক সাশ্রয়ও হচ্ছে। এখানে অসাধু চক্রটির লুটপাট বন্ধ হওয়ায় এখন তারা নাখোশ। সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের ক্রীড়ার উন্নয়নে বছর বছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি বাস্তবায়নের নামে অধিকাংশ সরকারি বরাদ্দের পুরোটাই লোপাট হয়ে যায়। ফলে তৃণমূল পর্যায়ে ক্রীড়ার দৃশ্যমান অগ্রগতি বা সম্প্রসারণ হচ্ছে না। এমনকি চক্রের পকেটে বরাদ্দের সিংহভাগ চলে যাওয়ায় ক্রীড়ার মানোন্নয়নে এক টাকাও ব্যয় করা হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্নীতি ও অনিয়মে কঠোর হওয়ায় গুটিকয়েক কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিচালকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।’ খুলনা জেলা ক্রীড়া অফিসার বকতিয়ার রহমান বলেন, ‘পরিচালকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে সেটি ভুয়া, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’ বরাদ্দ প্রদানের আগেই বাস্তবায়ন: বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি প্রশিক্ষণ বাস্তবায়নের জন্য সরকারি বরাদ্দ চাওয়া হয়নি। এর আগেই অর্থ উত্তোলনের জন্য চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসারের অনুকূলে বাস্তবায়ন ব্যয়ের প্রতিবেদন দাখিল হয়েছে। নথির তথ্যে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের সাঁতার প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন করা হয়েছে গত বছরের ২ অক্টোবর। জেলা ক্রীড়া অফিসারদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয় ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর। অথচ বরাদ্দ পাওয়ার দুই মাস আগেই গত বছরের ১ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সাঁতার প্রশিক্ষণ বাস্তবায়নের ব্যয়ের প্রতিবেদন দাখিল করা হয়; সেটিও আবার স্বাক্ষরবিহীন। অথচ চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার কোনো যাচাই ছাড়াই বিলের টাকাও পরিশোধ করে দেন। এভাবেই চলে আসছে ক্রীড়া পরিদপ্তরের লুটপাট। জবাবদিহির মুখোমুখি হলে ঢাকা জেলার সাবেক ক্রীড়া অফিসার রেজাউল করিম ও চট্টগ্রামের জেলা ক্রীড়া অফিসার হারুন অর রশীদ আগাম অর্থ বরাদ্দের কথা স্বীকার করেন। তারা বলেন, বছর বছর আমরা এভাবেই (বরাদ্দ পাওয়ার আগেই বাস্তবায়ন) পেয়ে আসছি। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এটাই শিখিয়েছেন। এ বিষয়ে ক্রীড়া পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ফেরদৌউস আলম ও সহকারী পরিচালক (সংগঠন) আলীমুজ্জামান শুনানিতে উপস্থিত থাকলেও কোনো জবাব দেননি। প্রশিক্ষণের স্থানের নাম না লেখা: প্রশিক্ষণের স্থানের নাম না লেখা বা উল্লেখ না করা ক্রীড়া পরিদপ্তরের অধীন কর্মকর্তাদের নিয়মে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎ করার এক অভিনব কৌশল। যাচাই যাতে না করতে পারেন, সেজন্য প্রশিক্ষণে স্থানের নাম লেখেন না কর্মকর্তারা। ক্রীড়া অফিসাররা জানান, ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এটি এভাবেই চলে আসছে। কখনো কেউ এভাবে দেখেনি। কোনো পরিচালক বাস্তবায়িত ক্রীড়া কর্মসূচির ডকুমেন্টস দেখেছেন, সেটা তাদের জানা নেই। মো. আলীমুজ্জামানও স্বীকার করেন, আগে কখনো দেখা হয়নি। ভুয়া ভাউচারে টাকা উত্তোলন: প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মাস্টাররোল কর্মচারীরাই ভুয়া বিল-ভাউচারে সহায়তা করেন। অনেক ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে প্যাড তারা কম্পিউটারে তৈরি করেন। আবার একজন অন্য জনেরটা তৈরি করে দেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া অফিসের অফিস সহায়ক কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মহসিন মিয়া নিজের অফিসের বাইরে অন্য অফিসের ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করেন বলে নথি পর্যালোচনায় পাওয়া গেছে। ভুয়া বিল করার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্বীকার করেছেন মহসিন। এ ছাড়া ভাই ভাই খেলাঘর, বি-টেক্স ও বিজনেস ওয়ার্ল্ড প্রোপ্রাইটর কবির হোসেনের ঠিকানা যাত্রাবাড়ীর কাজলা ব্রিজসংলগ্ন পানির পাম্প উল্লেখ আছে। এই তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাংক ও সাদা ভাউচার ৬৪ জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে জেলা ক্রীড়া অফিসাররা ইচ্ছামতো বিল লিখে নিজেরা স্বাক্ষর করেন। অর্থবছর শেষে কবির হোসেনের স্বাক্ষর ১৫০ থেকে ২০০ রকমের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা জেলার ক্রীড়া অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বেনামে ওই তিনটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। কবির হোসেন একজন কাল্পনিক ব্যক্তি। এমনকি দাখিলকৃত মাস্টাররোলের ৯০ শতাংশ ভুয়া এবং নিজেদের তৈরি করা; প্রশিক্ষণার্থীদের শুধু নাম ছাড়া অন্য কোনো তথ্য থাকে না। এ ছাড়া নামের অর্ধেক লেখা এবং পিতা-মাতা ও ঠিকানা উল্লেখ করা হয় না। কোচের সম্মানী গ্রহণের স্বাক্ষর জাল, নিজ নিজ জেলা ক্রীড়া অফিসার কর্তৃক স্বাক্ষরিত। জানতে চাইলে ক্রীড়া পরিদপ্তরের আ ন ম তরিকুল ইসলাম জানান, কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ভুয়া বিল-ভাউচার ও জাল স্বাক্ষর দিয়ে বার্ষিক বরাদ্দের ক্রীড়াসামগ্রীর টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যান। বরাদ্দের আগে বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি বাস্তবায়ন শেষ করার ঘটনা অবিশ্বাস্য ও নজিরবিহীন। ক্রীড়ার মানোন্নয়নে এক টাকাও ব্যয় না করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। ক্রীড়াসামগ্রীর বরাদ্দের টাকা ছাড়ের সময় হয়নি এবং এমনকি ক্রীড়াসামগ্রী কেনা হয়নি অথচ বিল করে বছরের পর বছর টাকা উত্তোলন করছে চক্রটি। তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বিষয়টি জানার পর আপত্তিকর বিল আটকে দিয়েছি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধনসহ নানা মিথ্যা অপবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।