কক্সবাজারের উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ায় অপহরণের ১৪ দিন পর স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ আরিফের (৫০) গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নিজ বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মোহাম্মদ আরিফ পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাতব্বরপাড়ার মৃত বজল আহমেদের ছেলে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় বাড়ি ফেরার পথে তাকে অপহরণ করা হয়। এদিকে আরিফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা রুবেল খানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরের আন্দরকিল্লা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের পেকুয়া হতে অপহরণের শিকার হন পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুলের অধ্যক্ষ আরিফুল ইসলাম। পরবর্তীতে অপহৃতের মোবাইল থেকে কল করে স্বজনদের নিকট ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও অপহৃতের স্বজনদের নিকট কল করে মুক্তিপণ দাবিকারী হিসেবে রুবেলকে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর গভীর রাতে র্যাব ১৫, র্যাব ১১ ও র্যাব ৭ এর যৌথ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে রুবেলকে গ্রেপ্তারের মিশনে নামে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব। গ্রেপ্তারকৃত রুবেল চাঁদপুর সদর উপজেলার চরপুরচণ্ডী গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুল্লাহ খানের জ্যেষ্ঠ পুত্র। অভিযানে নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলেন র্যাব ১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম। তিনি জানান, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত রুবেল অন্যতম। এই রুবেলই সরাসরি অপহৃতের স্বজনদের নিকট অপহৃতের মোবাইল থেকে দফায় দফায় কল দিয়ে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এ ছাড়া অপহরণের আগে অধ্যক্ষ আরিফুলের গতিবিধির উপর দীর্ঘদিন যাবত নজরদারিও করেন রুবেল। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের পর রুবেল এই হত্যাকাণ্ড ও মুক্তিপণ আদায়ের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য অপরাধীদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।