ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণ না হলেও সে বিষয়ে কৌশল এবং সতর্কতার সঙ্গে এগোচ্ছে বিএনপি। সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দল শক্তিশালী করতে একের পর এক নতুন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দলটি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেড় দশকের বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনে ক্লান্ত ও বিপর্যস্ত বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দলটির নেতাকর্মীরা নির্বিঘ্নে চলাফেরা করছেন। দেশজুড়ে চলছে সাংগঠনিক তৎপরতা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘কঠিন’ হবে—এমনটা ভেবেই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। দলীয় সূত্র জানায়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে জনমনে স্বস্তি ফেরানো এবং নতুন ধারার রাজনীতির চর্চা ঘটাতে চায় বিএনপি। এ ক্ষেত্রে বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে ৩১ দফা রূপরেখা জনগণের কাছে নতুনভাবে তুলে ধরতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর হওয়ার পাশাপাশি সংগঠন গোছাতেও নজর দলটির হাইকমান্ডের। বর্তমান পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীরা যাতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে না পড়েন, সেজন্য আগামী সোমবার থেকে আবারও মাঠে নামছে দলটির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশে নেতাকর্মীদের আরও জবাবদিহির আওতায় আনতে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে যৌথ কর্মিসভা শুরু করেছেন এসব সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। একই সঙ্গে বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষের প্রচার-প্রচারণাও চালাচ্ছেন তারা। এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে তারা এই কার্যক্রম শুরু করেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের দিনক্ষণ সুনির্দিষ্ট না থাকলেও প্রায় সব রাজনৈতিক দল দ্রুত সময়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এজন্য সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছে বিএনপির। ধানের শীষের লিফলেট—এটা একটা নির্বাচনী প্রস্তুতির সংকেত। জানা গেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর প্রথম দিনই দুর্নীতি, লুটপাট, দখল ও নির্যাতন-নিপীড়নের বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বার্তা দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থানও নেন তিনি। বিশেষ করে সনাতন ধর্মের মানুষের নিরাপত্তার জন্য দলীয়ভাবে নির্দেশনা দেন। তার পরও দেশের বিভিন্ন স্থানে লুটপাট, দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে বিএনপির বেশকিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় দলের নীতিনির্ধারকরা বিব্রত এবং উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এ ক্ষেত্রে দলীয় শৃঙ্খলা ধরে রাখতে কঠোর অবস্থান নেয় বিএনপি। ফলে যাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে, তাদের সাংগঠনিক শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তিনশর মতো নেতাকর্মীকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়ার পাশাপাশি বহিষ্কারও করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর কিছু বিতর্কিত অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের কারণে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের একাধিক জেলা, উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। বিএনপির ৮১টি সাংগঠনিক জেলা ইউনিটের কমিটি হালনাগাদ কার্যক্রমও চলমান আছে। এরই মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। জানা যায়, আগামীতে দলীয় নেতাকর্মীদের আরও বেশি সতর্ক রাখা ও জবাবদিহির আওতায় আনতে এখন সাংগঠনিক তৎপরতা চালাচ্ছেন শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। এরই প্রাথমিক অংশ হিসেবে সারা দেশে যৌথ কর্মিসভা শুরু করেছে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রাজনীতি ও জনগণ নিয়ে তারেক রহমানের যে বার্তা, তা দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে পৌঁছে দেবেন সংগঠনের নেতারা। ‘আমরা যদি থাকি সৎ-দেশ সংস্কার সম্ভব’ শীর্ষক স্লোগান সামনে রেখে গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঝালকাঠিতে প্রথম দিন সভা করেছেন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর বরিশাল, নোয়াখালী, ফেনীসহ বিভিন্ন জেলায় যৌথ কর্মিসভা হয়। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকা, সংগঠনকে শক্তিশালী করা, সাংগঠনিক কাঠামো যাচাই-বাছাই করা এবং দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কঠোর বার্তা তৃণমূলে পৌঁছে দিচ্ছেন নেতারা। পাশাপাশি তৃণমূলের নেতা এবং বিএনপির কাছে সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা কী, এ বিষয়েও জনগণের মতামত নিচ্ছেন তিন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। আগামী সোমবার থেকে দ্বিতীয় দফায় জেলায় দলের নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ সংবলিত লিফলেট বিতরণ করবেন তারা। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলায়ও যৌথ কর্মিসভা ও লিফলেট বিতরণ করবে ৩ সংগঠন। তবে লিফলেটে শুধু ধানের শীষ প্রতীক ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ছাড়া কোনো লেখা কিংবা নেতার ছবি থাকছে না। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, দলকে তৃণমূলে জনসম্পৃক্ত করা, দেশ ও জনগণকে নিয়ে বিএনপির চিন্তাধারা গণমানুষের মধ্যে ভাগাভাগি করা। যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে যৌথ কর্মিসভা করা হচ্ছে। কেউ বিশৃঙ্খলা করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর বার্তা সারা দেশের নেতাকর্মীদের মধ্যে পৌঁছে দিতে চাই। সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সারা দেশে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু লোক বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নামে দখল-চাঁদাবাজিতে জড়িয়েছেন। আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনে চাঁদাবাজ-দখলবাজের স্থান নেই। আমাদের নেতা তারেক রহমান এ বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর। মকসুদ বলেন, সম্প্রতি সিলেট বিভাগের প্রতিটি জেলায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে ফলপ্রসূ যৌথ কর্মিসভা হয়েছে। আমরা ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে জনগণের মধ্যে গেলে যে সাড়া পেয়েছি, তা অভূতপূর্ব। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, তারা নতুন ধারার রাজনীতি গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রসমাজের কাছে যাচ্ছেন। অভিজ্ঞতা বিনিময় করছেন। নতুন ধারার রাজনীতি নিয়ে ব্যাপক সাড়াও পাচ্ছেন। বিএনপির চেয়ারপার্সনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির বিশেষ সহকারী বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু বলেন, সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই মাঠে নেমেছে বিএনপির ৩টি সংগঠন। আমাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ও লক্ষ্য আগামী নির্বাচনের দিকে। এটাই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্য। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আশা করি, যত দ্রুত সম্ভব এই সরকার নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে বিদায় নেবে। সেজন্য আমার তাদের সমর্থন দিচ্ছি। যৌথ কর্মিসভা ঘোষণা: স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুনভাবে ১৪ ও ১৫ অক্টোবর যৌথ কর্মিসভা ও গণসংযোগ হবে খুলনা মহানগর ও জেলা, রংপুর মহানগর ও জেলা, কুমিল্লা মহানগর ও উত্তর জেলায়। বাগেরহাট, লালমনিরহাট ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলায় ১৬ ও ১৭ অক্টোবর, সাতক্ষীরা, কুড়িগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ১৮ ও ১৯ অক্টোবর, যশোর, নীলফামারী, সৈয়দপুর ও চাঁদপুর জেলায় ২০ ও ২১ অক্টোবর, ভোলা, লক্ষ্মীপুর ও পটুয়াখালী জেলায় ২৪ ও ২৫ অক্টোবর, মাগুরা, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী মহানগর ও জেলায় ২৯ ও ৩০ অক্টোবর, ঝিনাইদহ, পঞ্চগড় ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর, চুয়াডাঙ্গা, দিনাজপুর ও নওগাঁ জেলায় ২ ও ৩ নভেম্বর এবং কুষ্টিয়া, গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট জেলায় হবে ৪ ও ৫ নভেম্বর। রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা নিয়ে মানুষের কাছে: পরিবর্তিত রাজনীতিতে সংবিধানের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের ৩১ দফা নিয়ে আবারও মানুষের কাছে যাবে বিএনপি ও দলটির সঙ্গে বিগত বছরে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলো। ইতোমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে যুগপতের শরিক দলগুলোর সঙ্গে লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই ‘রাষ্ট্র মেরামতে’ ৩১ দফা ঘোষণা করে বিএনপি। ৩১ দফা রূপরেখার উল্লেখযোগ্য দিক হলো—বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছানো; ‘দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তন; সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা; পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবে না; সংসদে ‘উচ্চকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা’ প্রবর্তন; সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে (দেখা হবে) বিবেচনা করা। এ ছাড়া আছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল; ‘বিচারপতি নিয়োগ আইন’ প্রণয়ন; ‘প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন’ গঠন; ‘মিডিয়া কমিশন’ গঠন; সংবিধান অনুযায়ী ন্যায়পাল নিয়োগ; দেড় দশকে গুম-খুনের বিচার; ‘অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন’ গঠন; ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, উপাসনালয় ভাঙচুর এবং তাদের সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ; বাংলাদেশ ভূখণ্ডের সন্ত্রাসী তৎপরতা বরদাশত না করা; মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের তালিকা প্রণয়ন; সবার জন্য স্বাস্থ্য কার্ড চালুর প্রতিশ্রুতি। বিএনপির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান গতকাল বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রণীত ১৯ দফা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘ভিশন ২০৩০’ এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ‘৩১ দফা’র আলোকে আগামীর বাংলাদেশকে ‘কল্যাণ রাষ্ট্র’ হিসেবে গড়ে তোলাই বিএনপির লক্ষ্য। নিকট অতীতে বিএনপির মতো এমন যুগোপযোগী রূপরেখা আর কেউ দিতে পারেনি। আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফাকে ইতোমধ্যে জনগণের কাছে তুলে ধরেছি। কর্মসূচি আকারে আবারও মানুষের কাছে যাবো। বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহ-সম্পাদক ড. শাকিরুল ইসলাম খান শাকিল বলেন, দেশের সব রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়েই ৩১ দফা রূপরেখা প্রণীত হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশ হবে কাঠামোগতভাবে শক্তিশালী এবং উন্নত।