প্রায় সাড়ে ৩ বছর পর আবারও রিটার্ন দাখিলের শর্তে গ্রামীণ ব্যাংককে ২০২৯ সাল পর্যন্ত সব আয়ের ওপর কর অব্যাহতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই শর্তে ২০২৯ সালের জুন পর্যন্ত অলাভজনক ধর্মীয় দাতব্য সংস্থা আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে দেওয়া দানকে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সূত্র জানায়, ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে কর অব্যাহতি সুবিধা পেয়ে আসছে গ্রামীণ ব্যাংক। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহতি সুবিধা পায় সংস্থাটি। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ায় অব্যাহতি সুবিধার মেয়াদ আর বাড়ায়নি এনবিআর। অন্তর্বর্তী সরকার পুনরায় ২০২৯ সাল পর্যন্ত অব্যাহতি দিল গ্রামীণ ব্যাংককে। তবে এ অব্যাহতির ভূতাপেক্ষ সুবিধা পাওয়া যাবে না। প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে অব্যাহতি কার্যকর হবে। আয়কর বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, আয়কর আইনে এনজিও ব্যুরো বা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষের নিবন্ধিত ক্ষুদ্র ঋণদানকারী সংস্থার আয়কে কর অব্যাহতি দেওয়া আছে। গ্রামীণ ব্যাংক এ দুটি সংস্থার অধীনে নিবন্ধিত না হওয়া সত্ত্বেও ক্ষুদ্র ঋণদান সংস্থার মতো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অপর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ধর্মীয় দাতব্য সংস্থা আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে দেওয়া দানকে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির দানের ১০ শতাংশ অর্থ কর অব্যাহতি পাবে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো ব্যক্তি আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে ১০০ টাকা দান করলে রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় তাকে ১০ টাকার ওপর কর দিতে হবে না। এক্ষেত্রে দান অব্যশই ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে হতে হবে।