বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া মাছ থেকে তৈরি ফিস কাটলেট, ফিস স্ট্রিপ, ফিস বল, ফিস পাউডারসহ বিভিন্ন মৎস্য পণ্য প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের চত্বরে ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের আয়োজনে ওই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রদর্শনীটি পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও রুরাল মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফরমেশন (আরএমটিপি) প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রদর্শনীতে সাবির এগ্রো, সওদা-ই বাজার এবং আবিদ এগ্রো অংশগ্রহণ করে। প্রদর্শনীতে পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া মাছের কাটলেট, ফিস স্ট্রিপ, ফিস বল, ফিস পাউডার, পাঙ্গাশের সস, ফ্রোজেন ফিস এবং কাঁচকি, টাকি, মোয়া বিভিন্ন প্রোসেসিং মাছ প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও সরাসরি রান্নার উপযোগী টাকি, কই, শিং, মাগুর, ইলিশ, রুই, কাতলা সহ বিভিন্ন মাছের ফ্রোজেন পণ্য প্রদর্শন করা হয়। বাকৃবি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড মো. শাহেদ রেজা, অধ্যাপক ড. ফাতেমা হক শিখাসহ মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে ফিশারিজ টেকনোলজি পণ্য নিয়ে ওই অনুষদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড মো. শাহেদ রেজা বলেন, এখানে যারা উদ্যোক্তারা আছেন তারা এই মাছ প্রক্রিয়াজাত বা অর্ধ প্রক্রিয়াজাত করে এমনভাবে তৈরি করেছে যাতে বাজার থেকে কিনে প্যাকেট খুলেই সরাসরি রান্না করা যায়। প্রদর্শনীতে দুই ধরনের পণ্য আছে মূলত একটি হচ্ছে সরাসরি রান্নার উপযোগী এবং অন্যটি সরাসরি খাওয়ার উপযোগী। পুষ্টিমানের দিক থেকে মাংসের চেয়ে মাছ অধিক উন্নত মানের। আমাদের দেশের বাচ্চারা অনেকে কাটার ভয়ে মাছ খেতে চায় না। এই ধরনের পণ্যে কোনো কাটা নেই এবং খেতেও মুখরোচক তাই বাচ্চারাসহ সকলেই সানন্দে খেতে পারবে। যারা ব্যস্ত থাকেন তারা এই পণ্যগুলো কিনে সরাসরি রান্না করতে পারবে এতে সময় সাশ্রয় হবে।