ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশন গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি সতর্ক করে বলেছেন, যদি ইরানের বিরুদ্ধে আর কোনো আগ্রাসন চালায় তাহলে ইসরাইলকে শোচনীয় জবাব দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার লেবাননে নিহত আইআরজিসি উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নীলফরৌশানের জানাজায় বক্তৃতাকালে মেজর জেনারেল সালামি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ইসরাইল ভুলভাবে ভেবেছিল হানিয়া, নাসরুল্লাহ এবং নীলফরৌশানকে হত্যা করে ইরান এবং তার মিত্রদের সমস্যা সৃষ্টি করবে। কিন্তু অপারেশন ট্রু প্রমিস টু এবং ইসরাইলের আয়রন ডোমের মধ্য দিয়ে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের অনুপ্রবেশ তাদের সমীকরণকে বদলে দিয়েছে’। আইআরজিসি প্রধান বলেছেন, ‘শত্রুদের সচেতন হওয়া উচিত যে ইরানের উপর যেকোন আক্রমণের শােচনীয় জবাব দেওয়া হবে। অপারেশন ট্রু প্রমিস টু সম্পূর্ণরূপে আমাদের প্রতিরক্ষামূলক সর্বোচ্চ শক্তি ছিল না। এটি স্রেফ শুধুমাত্র একটি সতর্কতা ছিল।’ তিনি বলেন, ‘ইসরাইল মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের জবাব পাবে। আমরা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করছি যে আমরা শত্রুর দুর্বলতাগুলো জানি এবং আমরা তার দুর্বলতাগুলো প্রকাশ করতে সক্ষম।’ মিত্রগোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা এবং কমান্ডারদের মৃত্যুর মাধ্যমে ইসরাইল যদি মনে পার পেয়ে যাবে, এই ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন আইআরজিসি প্রধান। বৃহস্পতিবার মধ্য ইরানের ইসফাহান শহরে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নীলফরৌশান জানাজা শেষে এক অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ শ্রদ্ধা জানান। অনুষ্ঠানে কালো পোশাক পরে মিছিলে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইসরাইলি বিমান হামলায় বৈরুতে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর সঙ্গে নিহত হন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নীলফরৌশান। ১৭ সেপ্টেম্বর হিজবুল্লাহর ওপর পেজার হামলার পরপরই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি একটি দূতের সঙ্গে হিজবুল্লাহ প্রধানকে ইরানে চলে যেতে অনুরোধ করে একটি বার্তা পাঠান। লেবাননে খামেনির সেই বার্তাবাহক ছিলেন আব্বাস নীলফরৌশান। ইসরাইলি বোমা যখন আঘাত হানে নাসরাল্লাহর সঙ্গে তিনিও তখন বাঙ্কারে ছিলেন এবং নিহত হন।