অনুমতি থাকলেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে পারছে না আমদানিকারকরা। এজন্য কাস্টমসের বৈষম্য ও গাফিলতিকে দায়ী করছেন তারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন এ স্থলবন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে খরচ কম হওয়ার পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের বাজার গুলোতে বাড়বে ডিমের সরবরাহ। তবে কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন আমদানি যোগ্য হয়ে থাকলে এই বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। দেশের বাজারে হঠাৎ করে ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ফলে ডিম আমদানির অনুমতি পায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী এবং অনুমতি পত্রে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের যেকোন স্থলবন্দর দিয়ে এসব ডিম আমদানি করতে পারবেন। তবে কাস্টমসের বৈষম্যের কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে পারছেন না এখনকার আমদানিকারকরা। হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, এই স্থলবন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করা গেলে অনেকটাই খরচ কম গুনতে হবে ফলে উত্তরাঞ্চলে ডিমের সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি কমে আসবে দাম। প্রতি ডজন ডিম ভারত থেকে আমদানি করতে খরচ গুনতে হবে ০.৫৮ মার্কিন ডলার আর প্রতি পিচ ডিমে শুল্ক পরিশোধ করতে হবে প্রায় ২ টাকার মতো। সবকিছু খরচ মিলে আমদানিকৃত এসব ডিম ১০ থেকে ১১ টাকার মধ্যে বাজারে বিক্রি করা সম্ভব বলে জানান ব্যবসায়ী। হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, স্থানীয় বাজারে প্রতি পিচ ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা দরে আর গ্রাম পর্যায়ে সেই ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকা দরে, এতে ডিম কিনতে অনেকটাই কষ্টে পড়তে হচ্ছে মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোকে। যেহেতু সরকার ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সেহেতু হিলি কাস্টমস যদি আমাদের ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা করতো তাহলে আমরা ডিম আমদানি করতাম। এতে করে দেশের বাজারে ডিমের দাম আরো কমে আসতো। আলিফ ট্রের্ডাস নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৩০ লাখ পিচ ডিম আমদানির অনুমতি পেয়েছে এই বন্দর দিয়ে বলেও জানান তিনি। হিলি শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার নার্গিস আক্তার বলেন, নতুন কোন পণ্য আমদানি করতে হলে আমাদের কিছু নিয়ম থাকে। আমরা বিষয়টি নিয়ে উপরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ডিম আমদানি করার জন্য ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা করবো।