সন্ত্রাসমুক্ত তেঁতুলঝোড়া গঠনের স্বপ্নে বিভোর মানবিক নেতা মুরাদ

প্রকাশিতঃ অক্টোবর ২১, ২০২৪ | ৯:১২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

মো. মুরাদ হোসেন। ছোটবেলা থেকেই বেড়ে উঠেছেন একটি রাজনৈতিক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। সম্পন্ন করেছেন আইন বিভাগে গ্র্যাজুয়েশন। স্থানীয়ভাবে পরিচিত গরিবের পরম বন্ধু হিসেবে। স্থানীয় অসহায় মানুষের বিপদে এগিয়ে আসাতেই তার যত আনন্দ। বিশেষ করে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে মুরাদ হোসেন ভগবানতুল্য। যেখানেই অন্যায়, সেখানেই ন্যায় প্রতিষ্ঠায় নিজের সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রয়োজনে ব্যয় করেন নিজের পকেটের অর্থ। এ ছাড়াও, অসহায় পঙ্গু ব্যক্তিদের সহায়তা, ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বিধবাদের ভাতা দেওয়া, স্থানীয় হতদরিদ্র কোনো কন্যার বিয়ে না হলে নিজ অর্থ ব্যয় করে বিয়ে সম্পন্ন করাসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করা যেন তার নেশাতে পরিণত হয়েছে। মুরাদ হোসেনের বাবা মরহুম মোস্তফা কামাল ছিলেন তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের একাধিকবারের মেম্বার এবং দায়িত্ব পালন করেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবেও। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন ৩০ বছর ধরে। শুধু বিএনপির রাজনীতি করার কারণে তাকেও জেলে যেতে হয়েছিল একাধিকবার, হতে হয়েছে নির্যাতিত। তবুও অন্যের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়া ছিল তার নেশা। শুধু রাজনীতি করার ‘অপরাধে’ দীর্ঘ ১১ বছর ছিলেন নিজের পিতৃ ভিটা ছাড়া। গত ৫ আগস্ট দেশের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে মানুষ যখন ফিরে পায় কথা বলার অধিকার এবং স্বাধীনভাবে চলার অধিকার ঠিক তখনই তিনি ৬ আগস্ট বাড়ি ফিরেছিলেন ১১ বছর পর। ৭ আগস্ট যোগ দেন আনন্দ মিছিলে। তার নেতৃত্বে আনন্দ মিছিলে শরিক হয়েছেন হাজারো জনতা। ফুলের মালা গলায় দিয়ে সম্মান জানানো হয়েছিল মোস্তফা কামালকে। এর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই বিজয়ের আনন্দে আনন্দিত হয়ে দ্বিতীয়বার স্বাধীন হওয়ার খুশিতে আনন্দে আত্মহারা হয়ে হাসতে হাসতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। তখন আনন্দ মিছিলটি পরিণত হয়েছিল শোকাবহ একটি মিছিলে। রাজনীতির পাশাপাশি অভিজ্ঞ দলিল লেখক হিসেবেও ছিল সাভার অঞ্চলজুড়ে সুখ্যাতি। মোস্তফা কামালের চতুর্থ সন্তান মো. মুরাদ হোসেনও বাবার আদর্শে বেড়ে উঠেছেন। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রেখেছেন বলিষ্ঠ ভূমিকা। ডাকসুর সাবেক ভিপি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান ও ব্যারিস্টার ইবনে আমান অমির সরাসরি নির্দেশনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অর্থ সহায়তাসহ বিভিন্ন সহায়তা নিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার পাশে ছিলেন। শুধু ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিভিন্নভাবে সহযোগিতার কারণে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পুলিশ বাহিনী কর্তৃক নির্যাতিত হয়েছেন একাধিকবার। হেমায়েতপুর এলাকার ত্রাস সাবেক সভার উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুরুল আলম রাজীব এবং সাবেক তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর বাহিনীর অস্ত্রের ঝনঝনানিকে উপেক্ষা করে অস্ত্রের সামনে নিজের বুক পেতে দিয়ে হেমায়েতপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে ভূমিকা রেখেছেন মুরাদ হোসেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি বিভিন্ন স্লোগানে মুখর করে রেখেছিলেন গোটা হেমায়েতপুর। নিজের পকেট থেকে খরচ করেছেন কারিকারি অর্থ। বাবার মৃত্যুর পর তেঁতুলঝোরা ইউনিয়নবাসীর কাছে মুরাদ হোসেনের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকার কারণে স্থানীয় জনতার চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মুরাদ হোসেনকে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয় ডাকসুর সাবেক ভিপি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান ও ব্যারিস্টার ইবনে আমান অমি। তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নবাসীর প্রত্যাশা ভবিষ্যতে মুরাদ হোসেনকে যেন আরও বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়। এদিকে মুরাদ হোসেনের চাওয়া ভবিষ্যতে নিজের মানবসেবার কাজগুলো আরও এগিয়ে নেওয়ার। তিনি বলেন, আমার বাবা সারা জীবন মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তার ডাক মানুষ শুনত, তিনিও মানুষের তরে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। একইভাবে আমরাও তার সন্তান হিসেবে সেই শিক্ষা পেয়েছি। বাবার মতো জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে আপন করেছি। দলের জন্য কাজ করেছি বিগত স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলেও। আগামীতেও বাবার শিক্ষাকে ধারণ করে ও জননেতা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান ভাইয়ের দিকনির্দেশনায় মানুষের তরে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই।