আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

প্রকাশিতঃ অক্টোবর ২১, ২০২৪ | ৬:১২ অপরাহ্ন
মোঃ জিলান হোসেন, ভ্রাম্যমান সংবাদদাতা

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের হারগাড়ী গ্রামে নাসির হোসেন পিতা মৃত নূর মোহাম্মদ মোঃ জান্টু পিতা মৃত আমির চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল সামাদ পিতা মোঃওসমান ১১/০২/২০২৪ সন্ধ্যা ৭ঃ০০ টায় একই গ্রামের ভাদু মালিতার ছেলে মোঃ আখতারুজ্জামানকে তার বসতবাড়ির সামনে থেকে মোবাইল ফোনে কথা বলা অবস্থায় একই গ্রামের মোঃ মজনু এবং মোঃ আনোয়ার এর নির্দেশে মোহাম্মদ নাসির তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে সজোরে আখতারুজ্জামানকে মাথার পিছনে কোপ দেয়। এবং মোহাম্মদ নাসিরের সাথে থাকা মোহাম্মদ জানতে এবং মোঃ আব্দুস সামাদ তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। আশেপাশের লোকজনের কারণে পরে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ঐদিন রাতেই তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয় ।মামলাটির ধারাগুলো হল ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৫৪/৪২৭/১১৪/৫০৬ পেনাল কোড।মামলাটি চুয়াডাঙ্গা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এখনো চলমান। উক্ত মামলার প্রধান আসামী মোঃ নাসির পরবর্তীতে জামিনে মুক্ত হয়। জামিনে মুক্ত হওয়ার পরে এলাকায় এসে বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময় হুমকিধামকী এবং আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে থাকে। ৫ই আগস্ট এর পরবর্তীতে দেশের চলমান সংকট পরিস্থিতিতে থানাগুলো ঠিকমতো কার্যক্রম না চালানোরর কারণে ভুক্তভোগীর পরিবার এখন পর্যন্ত ভীত সন্ত্রস্ত। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বর্তমান সে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চরমে চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত মামলার প্রধান আসামী মোহাম্মদ নাসির ১৯৯৬ সাল থেকে আমবাড়িয়া ইউনিয়নের সিরাজ ভাই বাহিনীর সদস্য ছিলেন। তখন থেকে সে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তার এলাকায় চালিয়ে আসছে। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে দেশত্যাগে বাধ্য হয়। পরবর্তী ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে আওয়ামি সরকার পুনরায় সরকার গঠন করলে দেশে এসে তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে থাকে। এলাকায় বিভিন্ন মানুষের জমি দখল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। এলাকাবাসীর দাবি এই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে যেন দ্রুত আইনের মাধ্যমে বিচার করা হয়।