মুন্সীগঞ্জে হত্যা মামলার আসামীদের জামিন দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা আদালত প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ।

প্রকাশিতঃ অক্টোবর ২৩, ২০২৪ | ১১:৫৩ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

মুন্সীগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্মাণ শ্রমিক সজল হত্যা মামলার ৩ আসামীকে জামিন দেওয়ার প্রতিবাদে মুন্সীগঞ্জ আদালতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-ছাত্রীরা। এ সময় দুই আইনজীবির সাথে আন্দোলনকারিদের বাক বন্ডিতা ও হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। বুধবার দুপুর ২টার দিকে আদালতের আইনজীবি সমিতি প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইসতিয়াক সম্রাট নামের এক আইনজীবির বিরুদ্ধে আইনজীবি সমিতিতে লিখিত অভিযোগ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা।জানাগেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত  সজল হত্যা মামলায় আজ (২৩ অক্টোবর) মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনাণি ছিলো। ওই মামলার ৩ আসামী মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হোসেন সোহেল, আক্তার হোসেন  চৌধুরী ও ইব্রাহিম সর্দার এর জামিন শুনানি ছিল। শুনানী শেষে বেলা ১১ টার দিকে ওই আদালতের বিচারক কাজি আবদুল হান্নান ওই ৩ আসামীর জামিন মঞ্জুর করেন। এই জামিন মঞ্জুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেলা ১টার দিকে শতাধিক ছাত্র ছাত্রী মুন্সীগঞ্জ শহীদ  মিনার হতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মুন্সীগঞ্জ আদালত প্রাঙনে প্রবেশ করে। এ সময় তারা আমার ভাই কবরে অপরাধীকে বাহিরে বলে শ্লোগান দিতে থাকে। পরে তারা এক পর্যায়ে জজ আদালতের নিচ তলার বারিন্দায় প্রবেশ  করলে আইনজীবিরা তাদের আদালতের বারিন্দা হতে বুঝিয়ে মাঠে ফিরিয়ে দেয়। পরে তারা ওই মামলায় নিযুক্ত আইনজীবিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে  থাকলে মুন্সীগঞ্জ আদালতের কতিপয় আইনজীবির সাথে বাকবন্ডিতায় জড়িয়ে পরে।এ সময় শিক্ষার্থীরা আইনজীবি সমিতি ভবনের ভিতরে ঢুকার চেষ্টা করলে আইনজীবিরা বাধা দেয়। বাধার মুখে আইনজীবি সমিতিতে ঢুকতে না পেরে পূনরায় আইনজীবি সমিতির মাঠে গিয়ে আইনজীবিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।পরে মুন্সীগঞ্জ আইনজীবি সমিতির সদস্য এডভোকেট সুমন সরদার আন্দোলনরত ছাত্র ছাত্রীদের কোন আইনজীবির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে লিখিত আকারে দাখিল করতে বললে আন্দোলনরত শিক্ষর্থীরা তাদের উপর হামলার অভিযোগ এনে লিখিত দরখাস্ত দাখিল করে বিকাল সাড়ে  ৩ টার দিকে আদালত প্রঙ্গন ত্যাগ করেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনরত একাধিক শিক্ষার্থী জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমাদের ভাইদের হত্যা করছে ফ্যাসিবাদী সরকার। আমার ভাইয়েরা থাকবো কবরে আর ফ্যাসিবাদীরা থাকবো বাহিরে এটা আমরা কিছুতেই মেনে নিবোনা। তাছাড়া মানুষ হত্যা মামলায় কিভাবে আসামীরা এতো তাড়াতাড়ি জামিন পেয়ে যায়। দেশে কি কোন আইন কানুন নাই।এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ফারদিন হাসান আবির বলেন, দুই আইনজীবি আমাদের ডেকে বকাবকি করেছে। আমাদের কয়েকজনকে চড় থাপ্পর মেরেছে। আমরা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচার চাইতে এসেছিলাম কিন্তু ফ্যাসিবাদের দোসররা এ ঘটনা ঘটালো। আমরা এর বিচার চাই।এ ব্যাপারে এডভোকেট ইসতিয়াক সম্রাটের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে আইনজীবী মাহবুব-উল-আলম স্বপন জানান, আইনজীবি সমিতির বরাবর শিক্ষার্থীরা একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। সমিতির পক্ষে আমরা সেটি রেখেছি।মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খলিলুর রহমান জানান, বাকবিতন্ডায় ঘিরে কয়েকজন আইনজীবির সাথে ছাত্রদের হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।  এ বিষয়র কোন পক্ষ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। তবে আইনজীবি সমিতিতে ছাত্ররা একটি অভিযোগ করেছে বলেও শুনেছি।