মুন্সীগঞ্জে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত ৩৩৭ জন ডেঙ্গু রোগী জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা নিয়েছেন আরও কয়েক গুন বেশি। রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য তৈরী করা হয়েছে আলদা কর্নার। কিন্তু ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলায় শয্যা সংকটে মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। শহরে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস না হওয়ায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।স্থাণীয়দের অভিযোগ আগে নিয়মিত মশার ঔষধ শহরে স্প্রি করা হতো। কিন্তু গত ৫ আগষ্ট মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলা হলে নাগরিক অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে মুন্সীগঞ্জ শহরের লোকজন। ঢিমেতালে চলছে মশা নিধন কার্যক্রম। ঠিকমতো মশা নিধণ না হওয়ায় মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা ও মিরকাদিম পৌরসভা এবং আশপাশের এলাকায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। আর এ বছর বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় শহরের বিভিন্নস্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। জলাবদ্ধতার কারনে মশা পদূর্ভাব বড়ছে। এ কারনে রেকর্ড সংখ্যক রোগী শহরের উত্তর ও দক্ষিণ ইসলামপুর মহল্লায়। জলাবদ্ধতা এবং বৃষ্টির পানি জমে থাকায় এডিস মশার বংশ বিস্তার বাড়ছে। শুধুমাত্র সেপ্টেম্বর মাসে ১৪৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। গত এক সপ্তাহে শতাধিক মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।হাসপাতালের এক রোগী বলেন, প্রচণ্ড শরীর ও মাথা ব্যথা, জ্বর সঙ্গে বমি হচ্ছে।রোগীর স্বজনরা জানান, ঢাকায় যে পরিমাণ মশার ওষুধ দেয়া হয়। এখানে সেই পরিমাণ ওষুধ দিতে দেখা যায় না। ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের কোন ব্যবস্থা নেই। ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। বাড়িঘর পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি সচেতন থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের।মুন্সীগঞ্জের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু হেনা মো. জামাল বলেন, আতঙ্কিত হবেন না। নিজে সচেতন হোন। জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন।