মুন্সীগঞ্জে বড় হচ্ছে কারখানা, ছোট হচ্ছে ধলেশ্বরী।

প্রকাশিতঃ অক্টোবর ১, ২০২৪ | ১১:৪৭ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

মুন্সীগঞ্জে চলছে মেঘনা, ধলেশ্বরী, ইছামতি, পদ্মা ও রজতরেখা নদী দখলের মহোৎসব। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ওয়েবসাইটে মুন্সীগঞ্জে ৫৭টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি নদী দখলের তালিকা রয়েছে। এমনকি নদী ভরাট করে মার্কেট-বাজার তৈরিসহ বাস্তবে এই সংখ্যা আরও বেশি। প্রশাসন বলছে, দখলদারদের উচ্ছেদ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরেশ্বরাই মৌজায় ক্রমেই ছোট হচ্ছে ধলেশ্বরী। আর বড় হচ্ছে এই সিমেন্ট কারখানা। নদী রক্ষা কমিশন নদী দখলকারীদের তালিকা প্রকাশের পরও থামছে না দখলকর্ম। নদী গ্রাসের পরিধি বাড়ছেই।মেঘনা নদীর বড় একটি অংশ দখল হয়ে গেছে। গজারিয়া উপজেলার নয়ানগর মৌজার এই নদী এখন শিপইয়ার্ডের পেটে। দখলদার চিহ্নিত হওয়ার পরও উচ্ছেদ অভিযান নেই। ক্রমেই নদীর দিকে আরও প্রসারিত হচ্ছে।ইছামতি ও রজতরেখা নদীতেও দখলের প্রতিযোগিতা। জেলার নদী খাল বিল সবখানেই ভরাট আর দখলের রাজত্ব স্থানীয়রা বলছেন, চারিদিকে দোকানপাট হওয়ার কারণে নদী ছোট হয়ে যাচ্ছে। দখলের জন্য প্রত্যেকটা লঞ্চ নারায়ণগঞ্জ-ঢাকায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে।সরকারের অসৎ লোকদের সঙ্গে যোগসাজশে এই দখল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের প্রতি আমাদের আবেদন থাকবে, নদী দখল হয়ে গেলে আইন অনুযায়ী তা অবমুক্ত করা।মুন্সীগঞ্জের নব নিযুক্ত জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত জানান, দখলদারদের উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে গজারিয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই কাজ চলমান। এছাড়া নদীর দূষণ রোধ এবং নদীর প্রবাহ ঠিক রাখতে আমরা কাজ করছি।জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ওয়েব সাইডে মুন্সীগঞ্জে ৫৭টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি নদী দখলের তালিকা রয়েছে। বাস্তবে এই সংখ্যা আরও বেশি। প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রজতরেখা নদী পদ্মার সংযোগস্থলেই এমন বাজার তৈরি করা হয়েছে। অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া মুশকিল।