মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে লস্করপুর আজিজিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র শিশু রাকিব (১৩) হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলকাবাসী।সোমবার (৪ নভেম্বর) এলাকাবাসীর আয়োজনে লস্করপুর আজিজিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।নিহত রাকিবের মা রাবু আক্তার বলেন, আড়াই বছর ধরে আমি বিচার পাচ্ছি না প্রশাসনের লোক বলছে আপনি বিচার পাবেন পাবেন। আমি এখনো ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না। আমার ছেলেকে বলাৎকার করে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। মেডিসিন দিয়ে ওর শরীর পুড়ে ফেলেছে। আমি রাকিবের খুনিদের ফাঁসি চাই।এ সময় আরো বক্তব্য দেন-নিহতের পিতা মোশারফ হোসেন, বোন সাদিয়া আক্তার, চাচি রোকসানা বেগমসহ এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন কৌশিক, জাফর শেখ, সোনা মিয়া, হিরন খাঁন, অবিলম্বে রাকিব হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।এর আগে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ বাড়ি থেকে নিখোজের ৬দিন পর মাদ্রাসা ছাত্র রাকিবের লাশ উদ্ধার করে তার পরিবার। রাকিবের চাচা মোবারক হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।পুলিশ ছাড়াও মামলাটির ছায়া তদন্ত করছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সংস্থা।রাকিব ও তার বড় ভাই মাহফুজুর রহমান তাদের বাড়ি থেকে ৩শ গজ দুরের মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো। ২০২১ সালের ১৫ মার্চ সকাল ৮ টার দিকে রাকিব বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় যায়। দুপুরে রাকিবের বড় ভাই বাড়িতে এসে ভাইয়ের জন্য ভাত নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে জানতে পারেন তার ভাই মাদ্রাসায় নেই। বিষয়টি সে তাৎক্ষনিক ভাবে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। সন্ধ্যার দিকে সে অভিবাবকদের জানায়। অভিবাবকরা মাদ্রাসায় এসে তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এসময় মাইকিং করার প্রস্তুতি নিলে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাদ্রাসার সন্মান হানির দোহাই দিয়ে মাইকিং করতে নিষেধ করেন। রাকিবের বাবা-মা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে শ্রীনগর থানায় এসে পরদিন রাতে সাধারণ ডাইরী করেন। ২০ মার্চ রবিবার সকালে মাদ্রাসা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দুরে কেয়টখালী এলাকায় অর্ধগলিত লাশ দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯ এর ফোন দেয়। পরে শ্রীনগর থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। রাকিব হাঁসাড়া ইউনয়িনরে লস্করপুর চকেরবাড়ি গ্রামের মোশারফ হোসনেরে ছলে। ২ ভাই ১ বোনের মধ্যে রাকির সবার ছোট।