মার্কিনিরা আগামী চার বছরের জন্য তাদের নেতা নির্বাচন করার রায় দিয়ে দিয়েছে। তাদের রায়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের পাশাপাশি পপুলার ভোটেও প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস থেকে ঢের এগিয়ে রিপাবলিকান এই প্রার্থী। ২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও পপুলার ভোট কম পেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার সেই আক্ষেপ ঘুচে গেল তার। নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে অন্তত ২৭০টি নিশ্চিত করতে হয়। এসোসিয়েট প্রেস বলছে, ট্রাম্প ইতোমধ্যে ২৬৭ ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে গেছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৪ ইলেকটোরাল ভোট। ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে ট্রাম্পের বাকি মাত্র ৩ ভোট। এদিকে পপুলার ভোটেও এগিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকাল ৪ টা ২০ মিনিট) ট্রাম্প পেয়েছেন মোট ৭ কোটি ৫ লাখ ৫২ হাজার ১৮৩ পপুলার ভোট (৫১.১%)। আর হ্যারিস পেয়েছেন ৬ কোটি ৫৬ লাখ ১৫ হাজার ১৪২ পপুলার ভোট (৪৭.২)। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পদ্ধতির কারণে মোট ভোটের হিসেবে সারা দেশে বেশি ভোট পেয়েও ইলেকটোরাল ভোটে হেরে যেতে পারেন একজন প্রার্থী। আগের ছয় নির্বাচনের মধ্যে দুটোতে মোট ভোটে কম পেয়েও ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জর্জ ডাব্লিউ বুশ ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প ৩০৬টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, যদিও তিনি মোট ভোটের হিসাবে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে ৩০ লাখ ভোট কম পেয়েছিলেন। তার আগে ২০০০ সালে রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডাব্লিউ বুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ২৭১টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে, যদিও মোট ভোটে তার চেয়ে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার ভোট বেশি পেয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর। সর্বশেষ ২০২০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন আট কোটি ১২ লাখের বেশি পপুলার ভোট পেয়েছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পাওয়া সর্বোচ্চ ভোট। এর বিপরীতে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছিলেন সাত কোটি ৪২ লাখের বেশি ভোট। এবার যুক্তরাষ্ট্রে মোট ভোটার ২৪ কোটি ৪০ লাখ।