৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসে ঐতিহাসিকভাবে প্রত্যাবর্তন করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রাথমিক ফলাফলে বিজয়ী হওয়ার পর দেয়া ভাষণে তিনি সকল সমর্থকদের পাশাপাশি মুসলিম-আমেরিকান ভোটারদেরও ধন্যবাদ জানান। সংবাদমাধ্যম কিয়েভ ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, বুধবার ফ্লোরিডার ওয়েন্ট পাম বিচে উচ্ছ্বসিত জনতার সামনে বিজয় ভাষণ দেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, আমার এ বিজয়ের জন্য সকলের সমর্থন পেয়েছি। তাদের মধ্যে রয়েছেন আফ্রিকান-আমেরিকান, হিস্পানিক-আমেরিকান, এশিয়ান-আমেরিকান, আরব-আমেরিকান ও মুসলিম-আমেরিকান। এটি খুবই আনন্দের এবং ঐতিহাসিক ঘটনা। এর আগে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, বিশ্বে চলমান সব যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো যুদ্ধ ছিল না। আইএসআইএসকে পরাজিত করা ছাড়া চার বছর ধরে আমাদের কোনো যুদ্ধ হয়নি। তারা (ডেমোক্র্যাট) বলেছিল আমি নাকি একটি যুদ্ধ শুরু করব। আমি যুদ্ধ শুরু করতে যাচ্ছি না, আমি যুদ্ধ বন্ধ করতে যাচ্ছি।’ নির্বাচনী বিতর্কে ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি এই যুদ্ধটি শেষ করা এবং এটি সম্পন্ন করা, একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা আমেরিকার সর্বোত্তম স্বার্থ।’ তার এই বক্তব্যের পরেই সারা বিশ্বের মুসলমানসহ সবাই আশার আলো দেখছেন, ভাবছেন চলমান ফিলিস্তিন ইস্যুসহ,লেবানন মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে সংঘাতের নিরসন হতে যাচ্ছে। যদিও অতীতে সব প্রেসিডেন্টরা গাজা ইস্যুতে ইসরাইলের পক্ষপাতের অভিযোগে অভিযুক্ত,তারপরও সারাবিশ্ব আশার আলো দেখছে ট্রাম্পের হাত ধরেই হয়ত বন্ধ হতে যাচ্ছে গাজা যুদ্ধ। এখন ভবিষ্যতই বলে দিবে ট্রাম্প তার কথা কটটুকু রাখবেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে মুসলিম সমর্থকদের প্রশংসা করেছেন রিপাবলিকার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, গাজা যুদ্ধ বন্ধে বাইডেন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ নিয়ে যেসব মুসলিম ভোটার ক্ষুব্ধ তারা মিশিগানে তাকে জয়ী করতে পারেন। তিনি মুসলিম সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, তারা শান্তি চায়, তারা যুদ্ধে থাকতে চায় না। তারা অনেক স্মার্ট। গাজা ও লেবাননে ভয়াবহ নৃশংসতা সত্ত্বেও বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে অনেক আরব বংশোদ্ভূত মার্কিন হতাশ হয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে ছেড়ে যাচ্ছেন। পরিবর্তনের আশায় তারা ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন। মুসলিম ও অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বক্তব্য দেয়ার পরও ট্রাম্প এসব ভোটারের কাছে গেছেন। ডিয়ারবোর্নে তিনি অভিবাসী ও মুসলিমদের মধ্যে প্রচার চালিয়েছেন। সেখানে গত শুক্রবার আরব বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকেরা তার সঙ্গে দেখা করেছেন।