বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সাধারণ হজ প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা (কোরবানি বাদে)। আর বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাধারণ হজ এজেন্সির মালিকবৃন্দের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখিত দু’টি বেসরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন হাবের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ সরদার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন হাবের সাবেক মহাসচিব ফরিদ আহমদ মজুমদার। এক প্রশ্নের জবাবে হাবের সাবেক মহাসচিব ফরিদ বলেন, সরকারি হজ ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের খরচ কমেনি। হাজীদের সেবার মান কমিয়ে সরকারি হজ প্যাকেজের মূল্য কম দেখানো হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হারাম শরীফ থেকে হাজীদের বাড়ী ৩ কিলোমিটার দূরে করা হয়েছে। বাংলাদেশি বয়োবৃদ্ধ হাজীরা এতো দূর থেকে বাসযোগে কাবা ঘরে নামাজ ইবাদত করতে কষ্টের শিকার হবেন। সরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণায় হজযাত্রীদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে বলেও হাবের সাবেক মহাসচিব ফরিদ দাবি করেন। হাব নেতা ফরিদ বলেন, ফ্যাসিস্ট পতিত হাসিনা সরকারের সময়ে অতিরিক্ত হজ প্যাকেজের মূল্য বৃদ্ধির দরুণ গত হজে ৪০ হাজার হজ কোটা খালি ছিল। তিনি বর্তমানে ওমরাযাত্রীরা সউদীতে যাওয়া-আসায় ৭৩ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিমানের টিকিট পাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া জনপ্রতি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকাই নির্ধারণ করা যুক্তিযুক্ত ছিল। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বায়রার সাবেক শীর্ষ নেতা কে এম মোবারক উল্লাহ শিমুল, হাবের সাবেক নেতা মাওলানা ফজলুর রহমান, আবু তাহের, মুফতি আব্দুল কাদের মোল্লা, মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান, মেসবাহ উদ্দিন সাঈদ, জাফর উদ্দিন, মো.আবু সালেহ রাজি(জাভেদ), শহিদুল্লাহ মাষ্টার, এহেসানুল হক, নূরুল্লাহ,এম এ রশিদ। উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সরকারিভাবে দুটি হজের প্যাকেজ ঘোষণা করেন। সরকার ঘোষিত প্যাকেজ অনুযায়ী খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা, যা গত হজের চেয়ে এক লাখ ৫৯৮ টাকা কম। অন্য প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। এ প্যাকেজে খাবারের ৪০ হাজার টাকা এবং কোরবানির সাড়ে ৭শ’ সউদী রিয়াল ধরা হয়নি। গত হজে সরকারিভাবে হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ হয়েছিল। বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য ছিল ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন।