তিন মাসে অন্তর্বর্তী সরকার অনেক কাজ করেছে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিতঃ নভেম্বর ৭, ২০২৪ | ৫:১৫ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

অন্তবর্তীকালীন সরকার তিন মাসে অনেকগুলো কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমরা যদি সরকারকে সহযোগিতা করি, তাহলে তারা উপযুক্ত ও যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন আয়োজন করবে। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরে-বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফখরুল এসব কথা বলেন। এর আগে বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সেখানে জড়ো হন। বিএনপির পাশাপাশি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস পূর্ণ হয়েছে, তারা কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে ফখরুল বলেন, অবশ্যই তারা অনেকগুলো কাজ করেছে, কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, তাদেরকে যদি আমরা সবাই সহযোগিতা করি, উপযুক্ত-যৌক্তিক সময়ে তারা নির্বাচন দিতে সক্ষম হবে। এর মধ্য দিয়ে এই জাতির সামনে যে চ্যালেঞ্জ আছে, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৭ নভেম্বরের এই দিনে ১৯৭৫ সালে দেশের দেশপ্রেমিক সৈনিক জনতা আধিপত্যবাদকে ও তাদের দোসরদের পরাজিত করে নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, ৭ নভেম্বরের পরে রাজনীতি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রাজনীতি, সেই রাজনীতি ছিল আধিপত্যবাদকে পরাজিত করে গণতন্ত্রের শত্রুদের পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতি। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালে সিপাহি-জনতার বিপ্লবের পর শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের অবস্থা পরিবর্তন করলেন। তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন করে বহদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে আসেন। তিনি রুদ্ধ বাজার অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে রূপান্তর করেন। ফলে বাংলাদেশে নতুন অর্থনীতির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতীয়তাবাদী দল ও জাতীয়তাবাদ দর্শন সৃষ্টি করেছেন। এই দর্শনে দীর্ঘকাল দলটি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই ও সংগ্রাম করছে। বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ সংগ্রামে দলটি তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে। তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করেছে, নির্যাতন করেছে। এই আওয়ামী লীগ প্রায় ৬০ লাখের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। ৭ শত মানুষকে গুম করে, হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো এই দেশে আধিপত্যবাদকে পরাজিত করা হয়। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে ৭ নভেম্বরের বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রধান নায়ক স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে জিয়ারত করে শ্রদ্ধা জানিয়েছি ও শপথ করেছি যে, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দেব। এর জন্য প্রয়োজনে আরও বেশি শক্তিশালী আন্দোলন করব। শ্রদ্ধা নিবেদনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ বিএনপির কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন অঙ্গ -সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।