রাজধানীতে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধীদের কঠোর হস্তে দমন করতে প্রস্তুত পুলিশ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতনের পর ভেঙ্গে পড়া ঢাকা মহানগর পুলিশ গত তিন মাসের মধ্যে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া এবং নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলসহ যে কোন ধরনের অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সক্ষম। নগরবাসীর নিরাপত্তায় পুলিশ ও র্যাব নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশ ও র্যাবকে সব ধরনের সহযোগিতায় মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী। ফলে দুষ্কৃতকারীদের যে কোন চক্রান্ত নির্মূল করতে প্রস্তুত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অন্যদিকে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বা দুষ্কৃতিকারীরা রাজধানীতে আইন-শৃঙ্খলা অবনতি করা এবং সাধারণ মানুষের জানমালের হুমকির কারণ হয় এমন কর্মসূচি দেয়ার চেষ্টা করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। ডিএমপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো: মাইনুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ইসরাইল হাওলাদার সার্বক্ষণিকভাবে ডিএমপির মাঠপর্যায়ের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তা এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে এসব কর্মকর্তারা নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নগরবাসী পুলিশের কাক্সিক্ষত সেবা পেতে শুরু করেছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ডিএমপির পুলিশের মধ্যে কাজের গতি ফিরে এসেছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী দল। তাদের কোনো কর্মসূচি করতে দেয়া হবে না। তাদের কর্মসূচি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পূর্ণশক্তি দিয়ে মোকাবিলা করবে। এই ফ্যাসিবাদী দলের বাংলাদেশে বিক্ষোভ করার কোনো সুযোগ নেই। গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশ নিয়ে কেউ সমাবেশ, মিছিল করার চেষ্টা করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পূর্ণশক্তি দিয়ে মোকাবিলা করবে। অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সহিংসতা বা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গে কোনো প্রচেষ্টাকে বরদাশত করবে না। ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সময়ে রাজধানীতে হত্যা, ডাকাতি ও চাঁদাবাজিসহ যে সব সন্ত্রাসীমূলক ঘটনা ঘটছে প্রতিটি ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ডিএমপির পাশাপাশি র্যাবের বিভিন্ন ইউনিট রাজধানীর অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছে। একই সাথে সেনাবাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সার্বক্ষণিক পাশে থেকে সহযোগিতা করায় দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে অপরাধীদের কঠোর হস্তে দমন করছে। দেশের সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় হুমকির কারণ হয় এমন কর্মসূচি কঠোরভাবে দমন করতে প্রস্তুত রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এ বিষয়ে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় র্যাব রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছে। কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন কোনো কর্মসূচি দিলে র্যাব পূর্ণশক্তি দিয়ে তা মোকাবিলা করবে। এছাড়া জনগণের নিরাপত্তায় হুমকির কারণ হয় এমন কোনো সমাবেশ বা কর্মসূচি যারাই করবে বা করার চেষ্টা করবে তাদের কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। র্যাব সারাদেশে পূর্ণ শক্তি ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় দুষ্কৃৃতিকারীদের মোকাবিলা করে আসছে এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান মন্তব্য করেন।