বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে বিদেশি আইনি সংস্থা বা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। বিদেশে পাচার করা টাকা ফেরত আনার বিষয়ে গঠিত টাস্কফোর্স গত ৩১ আগস্ট এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় বিদেশি আইনি সংস্থা বা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা। তবে বিদেশি প্রতিষ্ঠান নিয়োগের আগে আইনগত দিক খতিয়ে দেখে ইতিবাচক সংকেত দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীন শুল্ক গোয়েন্দা, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। উল্লেখ্য, কমিশনভিত্তিক এজেন্টের মাধ্যমে পাচার করা অর্থ ফেরত আনার নজির আছে। এর আগে ২০০৯ সালে ‘অক্টোখান’ নামের একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর সিঙ্গাপুরে পাচার করা অর্থ ফেরত আনা হয়েছে। পরে দুই দফা চুক্তির নবায়ন হলেও ২০১৫ সালের পর প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। হুসনে আরা শিখা বলেন, রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড মিটিংয়ে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানিটির জালিয়াতি ও অনিয়ম তদন্তে ‘ফরেনসিক নিরীক্ষা’র সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ডিজিটাল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ জালিয়াতি ও অনিয়ম ক্ষতিয়ে দেখার নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নগদের প্রশাসক বদিউজ্জামান দিদার বলেন, আমি এই ধরনের কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি। দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি ফরেনসিক নিরীক্ষার যে উদ্যোগ নিয়েছিলাম সেটি এখনো শুরু করতে পারিনি। ২০১৯ সালের মার্চে নগদ বাংলাদেশ ব্যাংকের অস্থায়ী লাইসেন্স পায়। গত জুনে সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের নেতৃত্বাধীন বোর্ড মিটিংয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সপ্তমবারের মতো অস্থায়ী লাইসেন্সের মেয়াদ বাড়ায়। যা আগামী ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত কার্যকর হবে।