অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। বিদেশি মিডিয়াতে সরকারের বিরুদ্ধে নানান অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এইসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা ও অপপ্রচার রুখতে তিনি দেশের সাংবাদিকদের সহায়তা চ্ইালেন। সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গতকাল সম্পাদকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ সহায়তা চান। নাহিদ ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে আওয়ামী সমর্থকদের ট্রাম্প সমর্থক হিসেবে চিত্রায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের সংবাদমাধ্যম এ ব্যাপারে তেমন কিছু করেনি। দেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার গুজব সিন্ডিকেট ভাঙতে সত্যটা তুলে ধরতে হবে। এ ছাড়া ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা গুম, খুন, নির্যাতন, দুর্নীতির চিত্র আমাদের দেশের মিডিয়াতে তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, গত জুলাই বিপ্লবে যারা শহীদ হয়েছেন, যারা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের কথা বারবার পত্র-পত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে তুলে ধরতে হবে। এই জুলাই আগস্ট বিপ্লবের স্মৃতি মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে। এই সরকারের অনেক অপকর্মের ঘটনার আলামত তাদের দোসরা নষ্ট করে ফেলেছে। সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য রয়েছে। তারা যদি এসব তথ্য তুলে ধরেন তাহলে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের এবং তাদের সহযোগিদের বিচারের ক্ষেত্রেও সেটা কাজে লাগবে। পত্রিকার দৈনিক প্রচার সংখ্যার সঠিক হিসাব প্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহায়তা চেয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। এ মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, কালের কন্ঠের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, দ্য ডেইলি স্টার বাংলার সম্পাদক গোলাম মোর্তজা, প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ, দৈনিক দিনকালের বার্তাসম্পাদক রাশেদুল হক, দৈনিক ইত্তেফাকের চিফ রিপোর্টারসহ সিনিয়র সাংবাদিকরা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আব্দুল্লাহ, দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ সংবাদদাতা রফিক মুহাম্মদ, সমকালের চিফ রিপোর্টার মসিউর রহমান খানসহ অনেকে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারজানা মাহবুব।