বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন মাস ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল মৃত্যু বরণ করাই বেনাপোলের আবদুল্লাহকে আজ গার্ড অব অর্নার প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বেনাপোল পৌর বল ফিল্ড মাঠে তাকে গার্ড অব অর্নার প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান ও বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাসেল মিয়া। পরে তাকে বেনাপোলের বড়আঁচড়া গ্রামে পারিবারিক কবর স্থানে তার দাফন করা হয়। এসময় স্থানীয় প্রশাসন, রজনীতিবিদ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক আবদুল মান্নান, শার্শা উপজেলার নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)কাজী নাজিব হাসান, যশোর জেলা বি এন পির সহদ্য সচিব এডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, শার্শা থানা বিএনপির সভাপতি খাইরুজ্জামান মধু, সাধারণ সম্পাদক হাসান জহির,শার্শা উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ্ব আশরাফুল আলম বাবু,কেন্দ্রীয় নেতা নুরুজ্জামান লিটন,বেনাপোল পৌর বিএনপির সভাপতি নাজিম উদ্দীন সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ভারত,জাতীয়তাবাদী যুবদলের শার্শা উপজেলা আহবায়ক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম,বেনাপোল পোর্ট থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাসেল মিয়া,বেনাপোল স্থলবন্দরের ৯২৫ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সহিদ আলী, বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি আতিকুজ্জামান সানি,যুগ্ম আহ্বায়ক দেয়োলার হোসেন খোকন,যশোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর,সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি,সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনেওয়াজ ইমরান,শার্শা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম ( চয়ন),বেনাপোল পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ,সদস্য সচিব ইশতিয়াক আহম্মেদ শাওন,ইমদাদুল হক ইমদাদ সদস্য সচিব শার্শা উপজেলা যুবদল,বেনাপোল পৌর যুবদলের আহবায়ক মফিজুর রহমান বাবু,বেনাপোল পৌর যুবদলের সদস্য সচিব রায়হানুজ্জামান দিপু প্রমুখ। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন গত ৫ আগস্ট মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন এক শিক্ষার্থী মারা যায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে মারা যান তিনি। নিহত আব্দুল্লাহ বেনাপোল পৌরসভার বড়আঁচড়া গ্রামের জব্বার আলীর ছেলে এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের পলিটিকাল সায়েন্সের ছাত্র ছিল। ৪ ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট আব্দুল্লাহ। বড় ভাই বাবু ও মেঝ ভাই মিঠু ট্রাক শ্রমিক। আর বোন শশুর বাড়িতে। বাবা বন্দর শ্রমিক। এদিকে আব্দুলার অকাল মৃত্যুর ঘটনায় সারা দেশের পাশাপাশি বেনাপোলের মানুষ শোকাহত।