গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ছাত্রদল নেতার ছুরিকাঘাতে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতাকর্মীসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার চারমাথা মোড় এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে। হামলার প্রতিবাদে ওই রাতেই গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন জামায়াত ও জাসাসের নেতাকর্মীরা। হামলাকারী ছাত্রদল নেতা মারুফ হাসানকে আটক করেছে পুলিশ। সে শিবপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মারুফ হাসান রাত ১০টার দিকে চারমাথা মোড়ে ফুল মিয়ার দোকানে গিয়ে ব্লাক ডায়মন্ড সিগারেট চেয়ে না পাওয়ায় দোকানদারের সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে মারুফ ফোন করে বন্ধুদের ডেকে এনে ধারালো চাকু নিয়ে ফুল মিয়াকে মারতে যান। এ সময় আশপাশে থাকা লোকজন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে মারুফ তার হাতে থাকা চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত শুরু করে। এতে অন্তত ১৩ জন আহত হন। এরপরই মারুফ ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু স্থানীয়রা ধাওয়া করে মারুফ হাসানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ায় শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আহতদের মধ্যে পৌর জাসাসের আহবায়ক রাশেদ নিজাম রুমেল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য জালাল মিয়া, পৌর যুব জামায়াতের বাইতুল মাল সম্পাদক ফুল মিয়া, পৌর ছাত্রদলের ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আশিক সরকার রয়েছেন। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মারুফ হাসানকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।