বাতাসে মারাত্মক দূষণের কারণে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করেছেন পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের লাখো মানুষ। এর আগে সামাজিকমাধ্যমে সংকটকালীন সময়ে এ বিশেষ প্রার্থনার আহ্বান জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। বায়দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় পাঞ্জাব প্রদেশে শুক্রবার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় সব ধরনের নির্মাণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, স্কুল বন্ধ রাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইন ক্লাস চালু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আধ্যাত্মিক সংহতির ওপর জোর দিয়ে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করেছেন লাখো মানুষ। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার লাহোরকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত করে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরের স্কোর ৬৮২। অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এমন আবহে শেহবাজ শরিফ সামাজিকমাধ্যমে জাতির উদ্দেশে বলেন, ‘আমি জাতিকে নামাজ-ই-ইসতিসকা পড়ার অনুরোধ করছি এবং বৃষ্টির জন্য আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করছি। ধর্মীয় পণ্ডিত এবং সুফি নেতাদের নামাজের আয়োজন নিশ্চিত করতে তাদের ভূমিকা পালন করা উচিত।’ প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বৃষ্টিপাতের সম্ভাব্য উপকারিতা তুলে ধরে বলেন, ‘এটি পরিবেশের উন্নতি করতে পারে এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে, যা বৃষ্টির অভাবের কারণে বেড়েছে। ’ ‘বৃষ্টি মানুষের জন্য স্বস্তি এনে দেবে এবং চলমান দুর্ভোগ কমাতে সাহায্য করবে।’ তিনি আরও অনুরোধ করে বলেন, ‘ফেডারেল এবং প্রাদেশিক প্রশাসনের অধীনে সারা দেশে সব মসজিদে নামাজ-ই-ইসতিসকা পরিচালনা করা হোক। এই কঠিন সময়ে, বৃষ্টির প্রার্থনায় আধ্যাত্মিক সংহতি প্রয়োজন’।